|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময়ে গন্ডগোলের জেরে শীতলকুচির জোড়পাটকি ১২৬ নম্বর বুথে গুলি চালায় সিআইএসএফ। সেই ঘটনায় ৬ সিআইএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে সমন জারি করল কোচবিহার আদালত।
ওই ঘটনার তদন্তে একাধিকবার ওই সিআইএসএফ জওয়ানদের হাজিরার নির্দেশ দেয় সিআইডি। সেই হাজিরার নির্দেশ না মানাতেই এমন সমন। আগামী ১৬ নভেম্বর ওই ৬ জনকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
শীতলকুচি গুলিকাণ্ড নিয়ে বহু চাপানউতোর হয়েছে। একপক্ষের দাবি, বুথে গন্ডগোলের ঘটনায় বাড়াবাড়ি করেছে সিআইএসএফ। গুলি চালনার মতো তেমন কিছু ঘটেনি। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি ছিল, তাঁদের উপরে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে হয়। উল্লেখ্য, ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪ জনের।
ওই ঘটনার তদন্ত নামে সিআইডি। ঘটনার সময়ে সিআইএসএফের এক কর্তা সহ বেশ কয়েকজন জওয়ান উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যেই সেইসময় কোচবিহারের এসপি, মাথাভাঙার আইসিকে জেরা করেছে সিআইডি। এর পাশাপাশি জিজ্ঞাসবাদের জন্য ৩ বার ওই ৬ জনকে ডেকে পাঠায় সিআইডি। কিন্তু একবারও তাঁরা সিআইডির সামনে হাজির হননি। প্রথমবার তাঁরা বলেছিলেন, তাদের সঙ্গী বেশ কয়েকজনের করোনা হয়েছে তাই তাদের যাওয়া সম্ভব নয়। তারপর দুবার হাজিরার নির্দেশ দেওয়ার পরও সিআইডি তদন্তের মুখোমুখি হননি ওইসব জওয়ান। এরপরই মাথাভাঙা এসিজেএম আদালতের দ্বারস্থ হয় সিআইডি। সেখানে বলা হয়, সিআইডির সমন মানেননি সিআইএসএফ জওয়ানরা। তাই তাদের নামে সমন জারি করা হোক।
আইন অনুযায়ী কোনও সরকারি কর্মচারি যদি আইনি নির্দেশ না মানেন তাহলে তাঁকে আদালতে হাজির করা যেতে পারে। সিআইডির ওই আবেদনে সাড়া দিয়ে আজ কোম্পানি কমান্ডেন্ট সহ ৬ জওয়ানকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এক্ষেত্রে সরকারি আদেশ না মানার কারণে তাদের ৬ মাস জেল পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফলে ১৬ নভেম্বরই বোঝা যাবে ওই ৬ জওয়ানের বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হল কিনা।
সূত্রের খবর, যাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, কোম্পানি কমান্ডার নীলেশ নামদেও যাদব, ডেপুটি কমান্ডেন্ট দিলীপ কুমার, ইন্সপেক্টর সুনীল কুমার, নিত্যানন্দ দাস, গিরীশ কুমার ও সন্দীপ কুমার।