ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্যে “৫০ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ” খোলা হয়েছে রাজ্যে। ক্ষুব্ধ মমতা

ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্যে “৫০ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ” খোলা হয়েছে রাজ্যে। ক্ষুব্ধ মমতা

     

    নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : বেশ কিছুদিন থেকে দুর্গাপুজো উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশিকার নাম করে নানা ভুয়ো খবর ছড়াছিলো স্যোশাল নেটওয়ার্ক হোয়াটসঅ্যাপে। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন, “এই কাজ কারা করছে, তা সবাই জানে। নাম আর বলব না। যারা কোনওদিন দুর্গাপুজোই করেনি জীবনে, তারা পুজো নিয়ে ফেক নিউজ ছড়াচ্ছে। অহংকারী,পাষণ্ডের দল, নির্লজ্জ ওরা।” মুখ্যমন্ত্রীর নিশানা যে ছিল বিজেপি, তা নিয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। আর বুধবার উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি অভিযোগ করলেন, “বাংলায় মানসিক সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। টাকা দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মিথ্যা কথা লিখে দাঙ্গা ছড়িয়ে দিচ্ছে।”

     

    মুখ্যমন্ত্রীর এই আক্রমণের নিশানাও যে নরেন্দ্র মোদীর দল, তা বলার বিশেষ অপেক্ষা রাখে না। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “টাকা দিয়ে ৫০ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, মালদহের ওই মন্দিরটা ভেঙে দিল। অথচ আসলে কিন্তু কেউ ভাঙেনি। পুরো ব্যাপারটাই ফেক। মিথ্যা, অসৎ প্রোপোগান্ডা চালানো হচ্ছে। রাজ্য সরকার কী কী কাজ করছে মানুষের জন্যে, তা থেকে সকলের দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। আমরা কাজ করব নাকি কারা দাঙ্গা করছে সে দিকে খেয়াল রাখব? আন্দোলন করতে হলে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করুন না, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই।”

     

    হোয়াটসঅ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যে দিকেদিকে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে, তা রুখতে প্রশাসনিক কর্তাদেরও সতর্ক থাকতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “মিথ্যা কথা লিখে ১ ঘণ্টার মধ্যে হয়ত দাঙ্গা ছড়িয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে। আইসি’রা খেয়াল রাখুন সবসময়।”

     

    মঙ্গলবারই ভাবী মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সরকারি উন্নয়নকে প্রচারে আনার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং উস্কানি রুখতে ব্লক পিছু দু’জন করে কর্মী নিয়োগ করা উচিত বলেও অভিমত প্রকাশ করেছেন তিনি।