|
---|
নতুন গতি ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই কবিতা, মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু-মুসলমান। মুসলিম তার নয়ন-মণি, হিন্দু তাহার প্রাণ। এমনি ছবি দেখাগিয়েছে মালদা জেলার কালিয়াচক থানার অন্তর্গত চরিঅনন্তপুর অঞ্চলের দৌলত টোলা গ্রামের এক অসহায় দারিদ্র্য পরিবারের পাশে দারালেন মুসলিম সমাজের কিছু যুবক তারা হিন্দু মেয়ে বিয়ে দায়িত্ব নিলেন ।পরিবারে রয়েছে দুই মেয়ে তার মধ্যে এক মেয়ের বিয়ে হয়েছে প্রায় চার বছর আগে,বাবা মারা গেছে প্রায় ২৫ বছর আগেই।বড় মেয়ের কোনভাবে বিয়ে দিয়েছিল কোনো আয়োজন ছড়ায়, কিন্তু দ্বিতীয় মেয়ে রিঙ্কি মন্ডল বিয়ে খরচ বহনে ব্যর্থ তার মা রাচনা মন্ডল তাই বিয়ে দিতে পারছিলো না ,অবার করোনা মহামারীতে এবং লকডাউন পরিস্থিতিতে কাজ কর্ম হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল রিঙ্কি মন্ডল এর মা রচনা মন্ডল। রিঙ্কির বিয়ে কিভাবে দিবে চিন্তা পরেছিলো তার মা সেই খবর পেয়ে পাশে দাঁড়ালো এলাকার কিছু মুসলিম যুবক।
তারা নিজের পরিবারে মতো দ্বায়িত্ব নেই সেই অসহায় পরিবারের।তারাই সমস্তই সরঞ্জাম ব্যবস্থা করে নিজে হাতেই ছাদনাতলা থেকে শুরু অতিথিদের আপ্যায়ন সবকিছুই নিজের বাড়ির মতো করেন ।প্যান্ডেল আলো থেকে শুরু করে মাছ-ভাত তরিতরকারি সব কিছুর আয়োজন করেছিল। এবং সারা রাত্রি জেগে বিয়ে সম্পন্ন করে। আজ রিঙ্কি মন্ডল এর বিয়েতে নিজেরা ছাদনাতলা সাজানো থেকে বিয়ের চার হাত এক করা সবটাই করেছে ওই দাদারা
এমন এক বিয়ে বাড়িতে আসা অতিথিরা সকলেই খুশি। রিংকির মা রচনা মন্ডল খুশির কান্নায় ভেঙে পড়েন এমন ভাবে তাদের পাশে দারালেন এবং তার সম্মান বাঁচানোর জন্যে সেই দাদাদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন।