|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : পারিবারিক অশান্তির জের গিয়ে পড়ল হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। ঘটনার সূত্রপাত একটি ইটভাটাকে কেন্দ্র করে। প্রায় ১০ বছর আগে পারিবারিক ইটভাটার মালিকানা নিয়ে একটি খুন হয়। প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করা হয় মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকার এক যুবককে। সেই খবর করতে গিয়েই বিপাকে পড়েন এক সাংবাদিক (Murshidabad Journalist)! অভিযোগ দুষ্কৃতীদের ভয়ে ঘরছাড়া তিনি। সেই মামলায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত, মামলাকারীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলল পুলিশকে। সেই সঙ্গে সুতি থানার আইসিকে তলব করা হয়েছে।
সুতি থানা এলাকার একটি ইটভাটাকে কেন্দ্র করে পরিবারের ভাইদের মধ্যে অশান্তি লেগেই ছিল। অভিযোগ, সেই অশান্তির জেরে ওই পরিবারের ছেলে নিশীথ দাসকে ভরা বাজারের মধ্যে পিটিয়ে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই খুনের ঘটনা অনেকেই ক্যামেরাবন্দি করেন। স্থানীয় এক সাংবাদিক সেই ঘটনা নিয়ে খবরও করেছিলেন।অভিযোগ, সেই খবর সামনে আসার পর থেকেই হুমকি পাচ্ছেন ওই সাংবাদিক ও মৃতের এক আত্মীয়। দুষ্কৃতীদের হুমকির ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না তাঁরা। এমনকী ঘটনার ভিডিও ডিলিট করার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চে সুরাহা চেয়ে আবেদন করেন সাংবাদিক রাজু শেখ ও মৃতের ভাগ্নে সঞ্জু দাস। সেই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর পক্ষের অভিযোগ, খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত শাসক দলের ব্লক সভাপতি।
যা শুনে বিচারপতির সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, নিশ্চয়ই ব্লক সভাপতি গ্রেফতার করা হয়নি। তিনি পলাতকও নন। তিনি নাকি এর মধ্যে প্রেস কনফারেন্সও করেছেন বলে অভিযোগ। সেটাও পুলিশের নিরাপত্তায় হয়েছে কিনা জানতে চান বিচারপতি।
শুনানি শেষে আদালত (Calcutta High Court) নির্দেশ দেয়, মামলাকারীদের সুতি থানার ওসি নিজে নিরাপত্তা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেবেন। জেলায় পুলিশ সুপার নিজে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নেবেন। তদন্তকারী অফিসার এই ঘটনায় আর এক পাও তদন্ত এগোবেন না।
তদন্তকারী অফিসারকে কেস ডাইরি-সহ যাবতীয় নথি জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপারকে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামী শুনানিতে কেস ডাইরি-সহ তদন্তের অগ্রগতি আদালতে জানাবে এসপি, নির্দেশ বিচারপতির।