পাকিস্তানের  করাচির একটি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪৫ জন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ!অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা : গতকাল আমরা পালন করেছি শিক্ষক দিবস। এই দিনটিতে শিক্ষকের কাছে আশীর্বাদ নিতে আমরা সকলেই যাই। অত্যন্ত আনন্দের সাথে পালিত হয় শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মিলন উৎসব। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান থেকে সাম্প্রতিক সময় এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যা অবাক করে দিয়েছে শিক্ষামহলকে।

     

    পাকিস্তানের  করাচির একটি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪৫ জন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে করাচি পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ইরফান গফুর মেমন। জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্ত যে স্কুলের শিক্ষক ছিলেন সেই স্কুলের অধিকাংশ কর্মচারীই মহিলা।পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্কুল শিক্ষক ইরফানের বিরুদ্ধে একজন, দুজন নয়, ৪৫ জন মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, অভিযুক্ত ঝই নারীদের একাধিকবার ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণ করেছেন। স্কুলের সিসিটিভিতে সেই ধর্ষণের ভিডিও ধরা পড়াকে কাজে লাগিয়েই অভিযুক্ত ব্ল্যাকমেল করত মহিলাদের।পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক গোপন ক্যামেরা বসিয়েছিলেন স্কুলে। সেই ক্যামেরায় ও অভিযুক্তির ফোনে একাধিক মহিলার বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও রয়েছে। এই ভিডিওগুলি পরবর্তীকালে অভিযুক্ত ধর্ষণের সময় ব্ল্যাকমেলের কাজে লাগাত। স্থানীয় পুলিশ ইন্টারনেটের এই মহিলাদের অশ্লীল ভিডিও দেখার পর তদন্ত নামে।সেই তদন্তে নেমে উঠে আসে ধর্ষণের যোগ। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে এই ৪৫ জন মহিলা কোনও না কোনও সময় এই স্কুলে কাজ করতেন। প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত ইরফান করাচির গুলশান-ই-হাদিদ এলাকার একটি স্কুলে পড়াতেন। এই স্কুলটি করাচির অন্যতম একটি বিখ্যাত স্কুল। মাসিক ১ লক্ষ টাকায় ২০২২ সালে এই স্কুলটি ভাড়া নেওয়া হয়।