পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের রাজবাড়ি পরিদর্শনে আসেন রাজ্য ট্যুরিজম দফতরের পাঁচজন আধিকারিকের টিম

নিজস্ব সংবাদদাতা : ৯ এপ্রিল শনিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের রাজবাড়ি পরিদর্শনে আসেন রাজ্য ট্যুরিজম দফতরের পাঁচজন আধিকারিকের টিম। কিছুদিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ট্যুরিজম দফতরে, জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলিকে সার্কিট ট্যুরিজমের জন্য জেলা ট্যুরিজম দফতরে আবেদন জমা পড়ে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য ট্যুরিজম দফতরের তিনজন আধিকারিক এবং জেলা ট্যুরিজম দফতরের জেলা পর্যটন আধিকারিক সহ ৫ জনের একটি টিম রাজবাড়ির গোপাল জীউর মন্দির, পুরানো সিংহদুয়ার বিল্ডিং, মিউওয়াকি জঙ্গল সহ পুরো রাজবাড়ি ঘুরে ফিরে দেখেন। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ত্রিবেণী সঙ্গম গেঁওখালি পরিদর্শন করে আধিকারিকেরা।

    এদিন ট্যুরিজম আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, বিডিও যোগেশ চন্দ্র মন্ডল, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তরুণ কান্তি মন্ডল, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রাখাল চন্দ্র মন্ডল, জয়েন্ট বিডিও বনমালী হালদার সহ বিভিন্ন অফিসারগণ। রাজ্য এবং জেলা ট্যুরিজম দফতরের আধিকারিকদের যৌথ ভাবে দিঘা, মন্দারমনি, মহিষাদল ও গেঁওখালি তৎসহ শহীদ মাতঙ্গিনীর জন্মস্থান এবং শরৎচন্দ্রের জন্ম ভিটা দেউলটি নিয়ে একটি সার্কিট ট্যুরিজমের সম্ভাবনা সরেজমিনে পরিদর্শন করার জন্য উপস্থিত হন। উনারা সম্ভাব্য সকল দিক খতিয়ে দেখে পরিকল্পনাটির বাস্তবায়নের সম্ভাবনা উল্লেখ করেন, বলে জানিয়েছেন মহিষাদল ব্লকের বিডিও যোগেশ চন্দ্র মন্ডল। দীর্ঘদিন ধরে মহিষাদল রাজবাড়ি এবং গেঁওখালি ত্রিবেণী সঙ্গমে একটি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টা চলছিল বলে জানান পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শিউলি দাস। নতুন পর্যটন সার্কিট গড়ে উঠলে নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বাড়বে। অর্থনৈতিক পরিকাঠামোরও উন্নতি হবে।