|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: ‘আবেগে ও মননে মাতৃভাষা’ এই আপ্তবাক্যকে হৃদয়ে রেখে নিরলস ভাবে বাংলা আবৃত্তি ও শ্রুতি নাটকের ক্রমোন্নতি সাধনে শিল্পচর্চা করে যাচ্ছে মেদিনীপুরের স্বর-আবৃত্তি প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি জেলা পরিষদের লাউঞ্জে স্বর-আবৃত্তি, মেদিনীপুরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো আবৃত্তি ও শ্রুতি নাটকের একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলো। এই কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট তিন বাচিকশিল্পী দেবাশিস চক্রবর্তী, ডালিয়া বসু সাহা,কাজল গুপ্ত প্রমুখ। স্বর-আবৃত্তির প্রায় ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে। সকাল থেকেই ছোটদের এবং বড়দের দুটি পর্যায়ে কর্মশালাটি বিভক্ত ছিল। আবৃত্তির প্রকরণ, স্বরক্ষেপন, উচ্চারণ,শৈলী,ছন্দ, শ্রুতি নাটকের বিভিন্ন দিক নিয়ে কর্মশালায় আলোচনা হয়। কর্মশালার পরে সান্ধ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীরা অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
ছোটদের বিভাগে রবীন্দ্র-নজরুল, ‘আমার পরিবেশ” আবৃত্তির কোলাজগুলি ছিল অনন্য।’হাম্বা’ও ‘ক্রেমে ক্রেমে প্রস্থান’ দুটি শ্রুতি নাটক সকলের মন জয় করে নেয়। সান্ধ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেবাশিস চক্রবর্তী,কাজল গুপ্ত,ডালিয়া বসু সাহা”র অনুষ্ঠান ছিল অসাধারণ। সান্ধ্য অনুষ্ঠানে শহরের সংস্কৃতি ও সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিতি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লক্ষণচন্দ্র ওঝা, জয়ন্ত মন্ডল, সৌমেন ঘোষ, ফকরুদ্দিন মল্লিক, মনিকাঞ্চন রায়, সুদীপ কুমার খাড়া অনিন্দিতা শাসমল,কুমারেশ দে প্রমুখ। স্বর-আবৃত্তি মেদিনীপুরের অধ্যক্ষ শুভদীপ বসু বলেন,’আমরা প্রায় প্রতিবছরই এরকম কর্মশালার আয়োজন করে থাকি। আর এইধরণের কর্মশালায় সারাদিন ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে অংশগ্রহণ করে। আবৃত্তি শিল্পের উন্নতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই কর্মশালায় শুধু মেদিনীপুরের স্বর- আবৃত্তিশিল্পীরাই নয়, শহরের বাইরে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছে।’ শেষলগ্নে শিবানী পাল,সুপর্ণা ব্যানার্জি,শিলা মহাপাত্র,রত্না মান্না,সুতপা পড়িয়া,সোমা দত্তদের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সাথে নটরাজ ডান্স একাডেমির ঈশিতা চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নৃত্যের কোলাজটি ছিল এককথায় অনন্য। স্বর আবৃত্তির পক্ষে মনীষা বসু, দীপক বসু,দীপা বসু সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। মনীষা বসু বলেন,’সান্ধ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রত্যেক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়”।অনুষ্ঠানটি সুচারু সঞ্চালনা করেন ঈশিতা চট্টোপাধ্যায়।