গঙ্গায় স্বামীর সঙ্গে স্নান করতে নেমে বানের জলে ভেসে গেলেন এক তরুণী

নিজস্ব প্রতিবেদক:- বিয়ের পর আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে দুঘর্টনা। গঙ্গায় স্বামীর সঙ্গে স্নান করতে নেমে বানের জলে ভেসে গেলেন এক তরুণী। শনিবার হুগলি জেলার তুলোপট্টি গঙ্গার ঘাটে ঘটনাটি ঘটেছে। এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি তরুণীর দেহ।পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণীর নাম পিয়ালি কর্মকার। মাস চারেক আগে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা সুজিত কর্মকারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রথম বার স্ত্রীকে নিয়ে চন্দননগরের হরিদ্রাডাঙায় পিসির বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন সুজিত। ঘুরতে এসে বাড়ি থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে তুলোপট্টি ঘাটে গঙ্গাস্নানে যান নবদম্পতি। সঙ্গে ছিলেন সুজিতের পিসির মেয়ে মেঘা দাস ও তাঁর বন্ধু বিশাল কুণ্ডু। স্নান করতে নেমে গঙ্গার মাঝামাঝি বালির চড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ওই চার জন। সেখানেই ঘটে ওই দুর্ঘটনা। মেঘা ও বিশাল সময় মতো পাড়ে উঠে এলেও বানের জলে তলিয়ে যান সুজিত ও পিয়ালি। আশপাশে থাকা নৌকার মাঝিরা সুজিতকে উদ্ধার করতে পারলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি পিয়ালিকে।প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, বান আসার আগে গঙ্গার ঘাট থেকে চেঁচিয়ে পিয়ালিদের বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। ঘাটের পার্শ্বস্থিত একটি মুদি দোকানের মালিক জানান, স্নান করতে নামার আগে তাঁর কাছে বান আসার সময়ও জানতে চেয়েছিলেন সুজিত। তিনি এখন জলে নামতে নিষেধ করলেও শোনেননি ওই চার জন।মাঝিরা সুজিতকে উদ্ধারের পর স্থানীয়রাই তুলোপট্টি ফাঁড়িতে খবর দেয়। পুলিশ এসে ওই তিন জনকে নিয়ে ফাঁড়িতে। সেখানে পুলিশকে সুজিত জানান, পিয়ালি সাঁতারও জানতেন না। গঙ্গার নাব্যতা কমে যাওয়ায় তাঁরা সহজেই মাঝখানে থাকে চড়ার কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। বান আসছে শুনে তাঁরা ফিরেই আসছিলেন, কিন্তু তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল বলেই জানায় তাঁরা।পুলিশের বক্তব্য, ঘাটে নিয়মিত ভাবেই নজরদারি চালানো হয়। কিন্তু সব সময় নজরদারি চালানো অসম্ভব। আগামী দিনে এমন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হবে। দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর স্পিড বোট নামিয়ে তরুণীর দেহ খোঁজা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।