আচার্য গিরিশ চন্দ্র বসু স্মৃতি বিজড়িত বেরুগ্রাম স্কুলে প্রতিষ্ঠা দিবস।

লুতুব আলি, বর্ধমান, ১৮ জানুয়ারি : বঙ্গবাসী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা তথা অবিভক্ত বর্ধমানের ভূমিপুত্র আচার্য গিরিশচন্দ্র বসুর জন্ম ভিটে বেরুগ্রাম আচার্য গিরিশচন্দ্র বসু বিদ্যাপীঠে প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হল। ১৮৫৩ সালের ২৯ অক্টোবর গিরিশচন্দ্র বসু দক্ষিণ দামোদরের বেরুগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে দক্ষিণ দামোদরের বিপ্লবী তথা অগ্নিপুরুষদের অবদান গিরিশচন্দ্র বসুকে ভাবিয়ে তুলেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তি ঘটাতে গেলে আগের দেশের মানুষকে শিক্ষিত করে তোলার ভাবনা নিয়ে গিরিশচন্দ্র বসু বিভিন্নভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও বিজ্ঞানসম্মতভাবে ভারতের কৃষি ব্যবস্থাপনার প্রভূত উন্নয়ন ঘটানোর তিনি পথ দেখিয়েছিলেন। তিনি বিদেশে পাড়ি দিয়ে অভিজ্ঞতার সঞ্চয় করে কৃষির পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন ঘটাতে চেয়েছিলেন। গিরিশ বাবুর সুযোগ্য পুত্র প্রশান্ত কুমার বসু তাঁদের ৪১ বিঘা সম্পত্তি নিঃশর্তভাবে দান করে বেরুগ্রাম আচার্য গিরিশচন্দ্র বসু বিদ্যাপীঠ ঘটতে সহায়তা করেছিলেন। গিরিশচন্দ্র বসু বঙ্গবাসী কলেজ প্রতিষ্ঠা অধ্যক্ষের পদ সামলে ছিলেন। পরবর্তীকালে প্রশান্ত কুমার বসু ও এই কলেজের অধ্যক্ষ হয়েছিলেন। ১৮ জানুয়ারি এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও অতিথিরা বসু পরিবারের অবদানের কথা তুলে ধরেন। স্মৃতিচারণা করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ মালিক সহ প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অনাথ বন্ধু রক্ষিত, বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতির সদস্য শেখ মিরাজ উদ্দিন, শেখ হাসিনা, প্রশান্ত পাল। বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশিষ্ট সাংবাদিক অতনু হাজরা জানান, বসু পরিবারের অবদানের জন্য এলাকাটি শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে মনব্বোক্তির শ্রুতি নাটক পরিবেশন ও সুচারুভাবে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষিকা সোমা হালদার প্রশিক্ষক বিপ্লব ঘোষ।