|
---|
জৈদুল সেখ, কান্দি: দীর্ঘদিন ধরেই জীবন্তি থেকে শেরপুরের দশকিমি রাস্তার অবস্থা এতোটাই বেহাল অবস্থ যে সাধারণ মানুষের শুরু করে বাইক থেকে টোটো তাছাড়াও যাত্রীবাহী বাস যাওয়ার অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এমন কী অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ মিনিটের রাস্তা এক ঘন্টার বেশি সময় লাগে।
বর্তমানে বৃষ্টির জলে রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে, প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চলাচল। বিপাকে সাধারন মানুষ। দীর্ঘদিনের বেহাল রাস্তা পরিদর্শনে এলেন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
তিনি সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে জানান ” একদিকে কান্দির রনগ্রাম ব্রিজ বন্ধ অন্যদিকে জীবন্তি শেরপুর রাস্তা অবস্থা এতটাই বেহাল যে চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে, রাজ্য সরকার নিয়মিত ট্যাক্স নেওয়া সত্ত্বেও কেন দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্করণ হচ্ছে না? বলে প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ।
এ প্রসঙ্গে কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন “জীবন্তি থেকে শেরপুরের রাস্তা সংস্করণের কাজে ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে! ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়ে গেছে ” এর প্রতুত্তরে অধীর চৌধুরী বলেন “ফালতু কথা মানুষকে ভাওতা দিয়ে লাভ নেই। এতোদিন ধরে রাস্তা বেহাল কেন ঠিক হচ্ছে না? তাছাড়া রাজ্য সরকার কী মানুষকে ভিক্ষা দিচ্ছে নাকি? বলে কটাক্ষ করেন। তার পরেই বলেন
“একদিকে রণগ্রাম ব্রিজ বন্ধ অন্যদিকে জীবন্তি শেরপুরের একমাত্র যোগাযোগের রাস্তা তাও বন্ধ মানুষ যাবে কোথায়? ”
তাছাড়া উত্তর প্রদেশের কৃষক হত্যা নিয়ে সোমবার বিকেলে জীবন্তি থেকে মহলন্দী পর্যন্ত ধিক্ষার মিছিল করেন। সাধারণ মানুষকে কাছে পেতে রাস্তায় দাড়িয়ে বাচ্চাদের হাতে তুলেদেন চকলেটে।
উল্লেখ্য শেরপুর বহরমপুর বীরভূম থেকে আসা শেরপুর রাস্তা হয়ে বহরমপুর মালদা যাওয়া গাড়িগুলো অতিরিক্ত বালি এবং পাথর ওভার লোডের ফলে অত্যাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দীর্ঘ ১০ কিমি রাস্তা। যার ফলে নাজেহাল অবস্থা যানবাহন থেকে সাধারণ মানুষের, বার বার প্রশাসন জানিও কোনো লাভ হয়নি । এখন দেখার বিষয় সঠিক ভাবে রাস্তার কাজ শুরু হবে নাকি রাজনৈতিক তর্জা চলবে! মানুষ আদৌও দৈনন্দিন যাত্রা যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাবে? সেটাই দেখার বিষয়।