‘বাংলার মানুষ কোনওদিন বহিরাগতদের কাছে আত্মসমপর্ণ করেনি, আগামিদিনেও করবে না’: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

দেবজিৎ মুখার্জি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ‘নতুন বস্ত্র গ্রহণ করার জন্য, পরের বছর থেকে কোনও কর্মসূচি আপনাকে আসতে হবে না’। বজবজের বিড়লাপুরে পুজো জনসংযোগ কর্মসূচি দিয়ে ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘পরের বার থেকে আমার তরফ থেকে  পুজো উপহার আমাদের প্রতিনিধিরা, আপনার বাড়িতে, আপনার দরজায় গিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসবে’।

    শহরে উৎসবের আমেজ। দেবীর বোধনের আগেই বিভিন্ন মণ্ডপে ভিড় উপচে পড়েছে দর্শনার্থীদের। আজ, বুধবার চতুর্থী। নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারে জনসংযোগে কর্মসূচিতে অভিষেক। বিভিন্ন এলাকায় দিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে ‘পুজোর উপহার’ তুলে দিচ্ছেন তিনি।

    এদিন বিড়লাপুরে অভিষেক বলেন, ‘মানুষ যাঁর সঙ্গে থাকে, পৃথিবীর কোনও শক্তি তাকে পরাজিত করতে পারে না, তাঁকে কেউ হারাতে পারে না। কোন কুৎসা, কোনও চক্রান্ত, কোনও ষড়যন্ত্র, কোনও স্বৈরাচারী শক্তি, কোনও দানব কোন অশুভ শক্তি তার পিছনে লেগে, তার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারে না। অন্য রাজনৈতিক দল যাঁরা আমাদের সঙ্গে লড়াই করছে, তাদের কাছে সব আছে, টাকা-পয়সা, অর্থবল, ক্ষমতা, কেন্দ্রীয় এজেন্সি, মিডিয়া, ইনকাম ট্যাক্স, ইলেকশন কমিশন। তৃণমূলের কাছে কিছুই নেই, শূন্য। খালি মানুষ আছে’।

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের আরও বক্তব্য, ‘বাংলার মানুষ কোনওদিন বহিরাগতদের কাছে আত্মসমপর্ণ করেনি, আগামিদিনেও করবে না। যে পাশে থাকবে, তাকেই ভোট দিন। অনেক চেষ্টা হচ্ছে, বাংলাকে ভাতে মারার! তৃণমূলকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। গায়ের জোরে মোদী সরকার আপনার টাকা আটকে রেখেছে’। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘৬ মাসের মধ্যে আপনার টাকা আদায় করবই। দেওয়ালির পর রাজনৈতিক লড়াই শুরু হবে’।

    এদিকে পুজোর উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছিলেন অমিত শাহ। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অভিষেক বলেন, ‘যে দুর্গাপুজো নিয়ে বিজেপি বলেছিল বাংলার পুজো হয় না, তাঁদেরকেই শুড়শুড় করে বাংলায় এসে পুজো উদ্বোধন করার জন্য ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করতে হচ্ছে! অনেক চেষ্টা হয়েছিল বাংলায় ধর্মযুদ্ধ লাগানোর’।