অনুব্রতকে গ্রেফতার করলেন কেন ? কী করেছিল কেষ্ট ?” দলের বীরভূম জেলা সভাপতির পাশে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা : অনুব্রত মণ্ডলের  গ্রেফতারির পর থেকে বিরোধীরা সুর চড়িয়েছেন। কিন্তু, তিনি মুখ খোলেননি। কী ভাবছেন তিনি, জানা যায়নি তাও। এবার তিনি মুখ খুললেন। ” অনুব্রতকে গ্রেফতার করলেন কেন ? কী করেছিল কেষ্ট ?” দলের বীরভূম জেলা সভাপতির পাশে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল। একজন নিয়োগ-দুর্নীতির মামলায় ইডি’র হাতে ধৃত। আরেকজনকে গরু পাচারের মামলায় গ্রেফতার করেছে সিবিআই। দু’জনই তৃণমূল নেত্রীর দীর্ঘদিনের সঙ্গী এবং বিশ্বস্ত অনুগামী। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৫ দিন সময় নিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর, ৪ দিন কেটে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি শাসকদল। উপরন্তু, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ED-CBI’কে কাজে লাগানোর অভিযোগে পথে নামে তৃণমূল। তখনই বীরভূমের দৌর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাব স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।সেই সুরেই আজ সরব হলেন দলনেত্রী। তিনি বললেন, “অনুব্রতকে গ্রেফতার করলেন কেন ? কী করেছিল কেষ্ট ? কেষ্টকে জেলে আটকালে কী হবে ? ওদের এজেন্সির কিছু লোক রয়েছে, তাঁদের টাকা দিয়ে পোষে। মাঝরাতে কেন সিবিআই বাড়িতে ঢুকছে ? কেষ্টর বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে সিবিআই।”এর পাশাপাশি মোদি সরকারকে নিশানা করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, “২০২৪-এ নরেন্দ্র মোদির সরকার টিকবে না। মহারাষ্ট্র ভেঙেছে, এবার বাংলাকে ভাঙার চেষ্টা করছে। তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে, ব্যর্থ হবে। বাংলা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, ওসব চলবে না এখানে। বিধায়কদের টাকা দিয়ে ঝাড়খণ্ডকে ভাঙার চেষ্টা করছিল, আমরা ধরে দিয়েছি। মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে ঘোড়া কেনাবেচা, তার কেন তদন্ত হবে না ? তুমি কি সাধু পুরুষ ? মরে যাব, কিন্তু মাথানত করব না। আমি জানি ওদের প্ল্যান কী আছে। বলছে ববিকে গ্রেফতার কর, কেষ্টকে অ্যারেস্ট কর। কতজনকে গ্রেফতার করবে? আমি জেলভরো আন্দোলনের ডাক দেব।”শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূলের ছেলেদের সকাল, দুপুর, বিকেল নোটিস পাঠিয়েই চলেছে। শুধু তৃণমূলের ছেলেদের নোটিস পাঠাচ্ছে, কোনও কাজ করতে দিচ্ছে না। কোথাও কোনও বিচার নেই, হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে, কী ব্যবস্থা হয়েছে? সব পার্টি চোর, আর তোমরা সাধু ? ঝাড়খণ্ড সরকার ভাঙতে দিইনি। হাতেনাতে চোরেদের ধরেছি, এটা বাংলার কৃতিত্ব।”