|
---|
স্টাফ রিপোর্টার : আজ পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল লোকসভার জামুড়িয়া ২ ব্লক কিষাণ ক্ষেত- মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বানে দলীয় কার্যালয়ে এক কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, পশ্চিম বর্ধমান জেলা কিষাণ ক্ষেত-মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জয়ব্রত বৈদ্য (হ্যাপী), জামুড়িয়া ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুকুমার ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ তাপস চক্রবর্তী, জামুড়িয়া ২ ব্লক কিষাণ ক্ষেত মজদুর সভাপতি কাজী আনোয়ারুল ইসলাম ( লাল্টু কাজী), তৃণমূল কংগ্রেস বঙ্গজননীর জেলা সভানেত্রী আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সিদ্ধার্থ শঙ্কর রাণা, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দীনেশ চক্রবর্তী, জামুড়িয়া ২ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী পলি বাগচি ও ব্লকের অন্যান্য নেতা নেত্রীগণ। ব্যাপক সংখ্যায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ক্ষেত মজদুর ও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকবৃন্দ।
বিধায়ক হরেরাম সিং কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি নীতির তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বনাশা কৃষি আইন কৃষকরা মেনে নেবেন না। তাঁরা প্রত্যাহার করিয়েই ছাড়বেন। বিধায়ক বলেন, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধীতায় তৃণমূল কংগ্রেস কৃষকদের পাশে আছে। তিনি উপযুক্ত সময়ে এই ধরনের কর্মীসভার আয়োজন করার জন্য জামুড়িয়া ২ ব্লক কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানান। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা সভাপতি জয়ব্রত বৈদ্য (হ্যাপী)। তিনি কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেস খুব দ্রুত মানুষের মধ্যে মান্যতা পাচ্ছে। আমাদের আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। যে কোনও অবস্থাতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। এটাই শেষ কথা। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সুকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ক্ষেত মজদুরদের লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সব সময় পাশে আছে। এবং থাকবেও। আজকের এই সভায় প্রচুর মানুষ এসেছেন। সু-শৃঙ্খল ভাবে সভা চলছে। এমন একটা সভার খুবই প্রয়োজন ছিল। আমরা আপনাদের বিপুল সমর্থন নিয়ে আবার ক্ষমতায় এসেছি। তিনি বলেন, আমাদের কাছে আত্মসন্তুষ্টির কোনও সুযোগ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় আরও দায়িত্বশীল হতে হবে আমাদের। সংগঠনকে ধন্যবাদ জানান তিনি। কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের সভাপতি কাজী আনোয়ারুল ইসলাম (লাল্টু কাজী) বলেন, শুধুমাত্র লখিমপুরের খেরির মতো দূর্ঘটনা নয়, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের পিষে মারতে চায়ছে সারা দেশে। তিনি দাবি করেন, মুষ্ঠিমেয় শিল্পপতি ছাড়া দেশের কোনও উন্নতি হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমাদের এলাকা খনি-শিল্পাঞ্চল হলেও ক্ষেত-মজদুর সংগঠন ও আন্দোলনের ক্ষেত্র আছে। আমরা সেটা আগামী দিনে আরও প্রমাণ করে দেখাব। সংগঠনের সভাপতি উপস্থিত নেতা ও কর্মী – সমর্থকদের স্বাগত জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন তাপস চক্রবর্তী, আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়, পলি বাগচি প্রমুখ।
গতকাল উপনির্বাচনের রায় তিন শূন্য হওয়ার কারণে আজকের সভায় উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল দৃশ্যত চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম থেকে উপস্থিত হতে থাকেন কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের অনেকেই বলেন, জামুড়িয়া ২ ব্লকে কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেস, পার্টির একটা গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হয়ে উঠেছে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গৌর পাল। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, স্থানীয় সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র সাংসদ পদে ইস্তফা সময়ের অপেক্ষা। ফলে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আসন্ন। স্থানীয় নাগরিকদের মতে, তারই প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই সভা তারই ফলশ্রুতি। জেলা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা বিরাট অংশ এই কর্মীসভা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।