ধর্ষণ ও হত্যার ১২ দিন পর অভিযুক্তরা অধরা, এলাকাবাসি ও মহিলা কংগ্রেসের যৌথ ভাবে কল্যাণী থানা ঘেরাও ।

সাইফুদ্দিন মল্লিক : নদীয়া জেলার কল্যানীতে ৩০ জুন কাকলী বারুই ( ৪২ ) নামে এক মহিলার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ করে খুন করার হয়েছে অনুমান। মৃতের ছেলের বর্ণনাতে মা প্রতিদিন কাজ যায়, ৩০ জুন রবিবারও কাজে বাহির হয়। সেই দিন বাড়ি ফিরে না, একটু খোঁজ খবর করে থানাতে খবর করি। পরের দিন আত্মীয় পড়শিরা সকালে খুঁজতে যায়, মা যাতায়াতের পথ হিসাবে বিশ্ব বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতো, সেই পথে খোঁজ করতে একদল মাতাল তারা এই খানে বসে মদ পান করছিল, আমাদের তাড়িয়ে দেয়। পরের দিন মঙ্গলবার এলাকাবাসি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের জঙ্গলে খুঁজতে যায়, উলঙ্গ বিবস্ত্র হয়ে পড়ে থাকা কাকলী বারুইয়ের লাশ দেখতে পায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টমে পাঠায়।

    এলাকাবাসি, মৃতের পরিবার পুলিশের উপর ক্ষিপ্ত। নিখোঁজ হওয়ার খবর রবিবার থানাতে দেওয়ার পরেও দুই দিন কোন কাজ করেনি পুলিশ। ছয় অভিযুক্তের নামে থানাতে এফআইআর করা হয়, কিন্তু ঘটনার দশ দিন অতিবাহিত মাত্র তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকাবাসি ও ক্ষিপ্ত জনতা বলেন পুলিশ সঠিক কাজ করলে লাশ খুঁজে বার করতো। কিন্তু পুলিশ হাত গুটিয়ে বসেছিল।

    পোস্ট মর্টম রিপোর্ট আশার পর এলাকাবাসি এবং মৃতের পরিবারের মধ্যের চাঞ্চল্য সৃস্টি হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে উলেখ্য হত্যা। মৃতকে দেখে প্রতিটা মানুষ বলছেন এটা ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণ করার হয়েছে তার প্রামান্যতে এলাকাবাসি বলেন লাশ ছিল বিবস্ত্র, সম্পূর্ন উলঙ্গ, চিত হয়ে পড়েছিল, লাশের স্তন ছিল ক্ষতবিক্ষত এবং একটি স্তন কাটা ছিল, দুই উরুরতে বিভন্ন রকমের দাগ ছিল। এলাকাবাসি বলেন পুলিশ কাউকে আড়াল করতে পোস্ট মর্টম পাল্টে দিয়েছেন।

    এই নির্মম হত্যকান্ডের প্রকৃত বিচার ও অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ ও এলাকাবাসীরা কল্যানী পুলিশ স্টেশনে ডেপুটেশন দেন গতকাল শনিবার। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী সুব্রতা দত্ত, রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি তথা এই অঞ্চলের লোকসভার কংগ্রেস মনোনিত প্রার্থী সৌরভ প্রসাদ, জেলা মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী লিপিকা ঘোষ, নদীয়া জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি অরিন্দম গোস্বামী, প্রদেশ যুব কংগ্রেস ওয়ার্কার্স এর সহ-সভাপতি আসিফ খান সহ কল্যানী শহর কংগ্রেসের তরফ থেকে আশীষ সহ সমস্ত নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও জেলা ছাত্র পরিষদের তরফে মোনতাজুল, নূর, রবি, বিশ্বজিৎ, দেবীকা,তন্বী সহ সমস্ত নেতৃত্ব। এক এলাকাবাসি মহিলা বলেন এই ঘটনার পর মেয়েদের স্কুলে ও টিউশন পাঠাতে ভয় লাগছে, কখন আমার মেয়েও এমন অবস্থা হয়ে পারে।

    ডেপুটেশনে ও বিক্ষোভে তিনটি দাবি তোলা হয় , এক – ধর্ষণ স্পস্ট কিন্তু সুধু হত্যা বলে চালানো হচ্ছে কেনো? দুই – ছয় জন অপরাধীর নামে এফআইআর, তিনজন ধরা পড়েছে বাকিরা অধরা কেনো ? তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার চাই। তিন – এলাকাতে উপযুক্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হবে। কংগ্রেসের নেতৃত্ব জানান আগামী শনিবারের মধ্যে দোষীরা গ্রেফতার না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দলনে নামব। কর্মসূচিতে পতাকা ও দলীয় ব্যানার হীন ভাবে এসেছিল কংগ্রেস কর্মীরা। জেলা মহিলা সভাপতি বলেন আমরা রাজনীতি করতে নয়, ইনসাফের দাবি আদায়ে জনগণের পাসে দাঁড়াতে এসেছি।