বিজেপির কায়দায় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের পর মেদিনীপুর শহরে আত্মপ্রকাশ করল কেজরিওয়ালের পার্টি “আপ”

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিজেপির কায়দায় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের পর মেদিনীপুর শহরে আত্মপ্রকাশ করল কেজরিওয়ালের পার্টি “আপ”। সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে বিশেষ নম্বর দিয়ে মিস কলের মাধ্যমে নিজেদের প্রচার শুরু করে দিল আপের সদস্যরা। সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত মেদিনীপুর শহর জুড়ে চলেছে এই পোস্টারিং।

    দিল্লির পরে পাঞ্জাবে নিজেদের ক্ষমতা বিস্তার করে এই রাজ্যে দলের বিস্তারের কাজ শুরু করেছিল কেজরিওয়ালের দল। জেলার দাসপুরে কয়েকদিন আগে বেশ কিছুটা পোস্টার দেখা গিয়েছিল। তবে সেভাবে দলের পেছনে থাকা নেতাদের সামনে দেখা যায়নি। এবার মেদিনীপুর শহরে প্রকাশ্যে ব্যাপকহারে পোস্টারিং করতে দেখা গেল।

    মেদিনীপুর শহর জুড়ে একদল ব্যক্তি এই পোস্টারিং করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই সংগঠনের যোগদান করতে মিসকল দিন। এরপর বিশেষ একটি নম্বর দেওয়া হয়েছে ওই পোস্টারে।কেজরিওয়ালের ছবি দেওয়া ওই বড় বড় পোস্টার মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আপ আম আদমি পার্টির মেদিনীপুর শহর সভাপতি অলোক কুমার রায় বলেন,  ”এই দল দিল্লি ও পাঞ্জাবে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। আমরা এই দলের শাখা-প্রশাখা ছড়াতে মেদিনীপুর শহরেও আত্মপ্রকাশ করেছি। সবেমাত্র পা রাখা হলো। সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে এই অভিযান আমাদের। লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার।”

    এ বিষয়ে বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ-সভাপতি অরূপ দাসের বক্তব্য, ” বিজেপির কায়দায় মাঠে নামলেও কোন লাভ হবে না এখানে। এর আগেও এই দল একবার চেষ্টা করেছিল। বাংলার মানুষ রাজনৈতিকভাবে সচেতন। দিল্লির পরে পাঞ্জাবের মানুষ এই দলকে ভোট দিয়ে পরিণতি ভুগছে। ফলে এই রাজ্যে আম আদমি পার্টির কোনো সুফল পাবে না আমরা নিশ্চিত।”

    এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “গণতান্ত্রিক পরিবেশে যে কেউ নিজস্ব রাজনৈতিক দল করতেই পারেন। কিন্তু বাংলাতে মানুষের মন জয় করে তবে স্থান দখল করা যায়। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দেখিয়েছেন। আম আদমি পার্টির সেই লক্ষ্যপূরণ কখনই সম্ভব হবেনা।”