|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- নির্বাচনে সাধারণত লড়াই করেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। তবে স্কুলের নির্বাচনে লড়াই করলেন খুদে পড়ুয়ারা। শুনে অবাক হচ্ছেন। অবাক হওয়ার মতো ঘটনা। মুর্শিদাবাদ জেলার মুর্শিদাবাদ চক্রের অন্তর্গত শিশু ভারতী স্কুল। মুর্শিদাবাদ জেলার শিশুভারতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী সভার অন্যান্য সদস্যরা এভাবেই নির্বাচিত হলেন। স্কুলের শিশু সংসদের প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে ছাত্রী পুণম মন্ডল। ২০১২ সালে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর এবং সর্বশিক্ষা মিশন নির্দেশ জারি করে প্রত্যেক স্কুলে শিশু সংসদ নির্বাচন এবং ক্যাবিনেট নির্বাচন করতে বলে । কিন্তু রাজ্যের বেশিরভাগ স্কুলে এই পদ্ধতিটি নির্বাচনের পরিবর্তে মনোনয়নের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। দেশে রাজনীতিতে আসার জন্য কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা বলা হয়নি সংবিধানে। তাই অল্প শিক্ষিত থেকে অর্ধ শিক্ষিত সকলেই রাজনীতিতে এসে পদ পেয়ে যান। কিন্তু নির্বাচনে লড়াই ও পদ পাওয়ার জন্য যে যোগ্যতার দরকার হয় সেই বিষয়টি ছোট থেকেই বোঝানোর জন্য স্কুলে শিশু সংসদ নির্বাচনে আমরা মনোনয়নের পরিবর্তে নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখা হয়।তবে স্কুলের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের একটি পরীক্ষায় বসতে হয়। সেই পরীক্ষায় যারা সর্বোচ্চ নম্বর পাবে তারাই ভোটে লড়ার অধিকার পাবে। আর ভোটে যারা জয়ী হবে তারা হবে মন্ত্রী। আর পরাজিতরা হবেন প্রতিমন্ত্রী।\” শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর -প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ,পরিবেশ ও শিক্ষা মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী ,ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর পদ রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী স্কুলের দৈনন্দিন সমস্ত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখেন। খাদ্যমন্ত্রী মূলত স্কুলের মিড ডে মিল ঠিকঠাক চলছে কিনা তা দেখেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ছাত্রছাত্রীরা ঠিকমত নখ, চুল কাটছে কিনা বা ‘বেসিক হাইজিন’ মেনে চলছে কিনা তা দেখেন। পরিবেশমন্ত্রী স্কুল প্রাঙ্গণ পরিষ্কার রাখার বিষয়টি নজরে রাখেন আর ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্ব ছাত্রছাত্রীরা ঠিকমত শরীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখছে কিনা তা দেখা।ছাত্র-ছাত্রীদের মনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কিভাবে ভোট হয় তা বোঝানোর জন্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পদ্ধতিতেই ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল।তারপর শুরু হয় গণনার কাজ। নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে শিশুভারতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট পরিচালনার জন্য ভোটে মুর্শিদাবাদ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক হাফিজুর রহমান ছিলেন অবজারভার, রিটার্নিং অফিসার সুজয় চক্রবর্তী পোলিং অবজারভার-দেবাশিস মন্ডল। অফিস কর্মী প্রিসাইডিং অফিসার-সুদীপ কুমার সরকার, চক্রের অন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পোলিং অফিসার-আবির চক্রবর্তী,তুষার রায়,বিদ্যুৎ ঘোষ।প্রত্যেকেই চক্রের অন্য বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এক জন করে ছাত্র প্রতিনিধি ও শিক্ষাবন্ধুরা। তবে ২০২২ এর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী পুণম মন্ডল জয়লাভ করেছে তার নিকটতম প্রার্থী রিমি মন্ডলের থেকে ১৬ ভোট বেশি পেয়ে। রিমি মন্ডল এ বছরের শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবে।