কৃষি ও স্বনির্ভর মেলা সরিষা হাই স্কুল মাঠে


বাইজিদ মন্ডল, ডায়মন্ড হারবার:- “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” বাংলার বারো মাসে তেরো পার্বণ, শুধুমাত্র কথার কথা নয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় গ্রামে গ্রামে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের উৎসব মেলা পার্বণ। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় গতকাল থেকে ১৭তম বর্ষের মেলা শুরু হয় ডায়মন্ড হারবার সরিষা হাই স্কুল মাঠে প্রদীপ উজ্জ্বলন ও বর্নাট্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে। এই কৃষি ও স্বনির্ভর মেলা, বিগত ১৪ দিন ধরে চলবে। প্রতিবছর রাস মেলা উপলক্ষে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সরিষা অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় কৃষি ও স্বনির্ভর মেলা। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পান্নালাল হালদার, ২নম্বর ব্লকের সভাপতি অরুময় গায়েন, দক্ষিন ২৪পরগনা জেলার মহিলা যুব সভাপতি মনমহিনী বিশ্বাস,টাউন তৃণমূল সভাপতি অমিত সাহা, পৌরভার জয়েন কনভেনর সৌমেন তরফদার,মেলার কার্যকরী সভাপতি রফিক মোল্লা, ভিন্নস্বাদ আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি শামীম আহমেদ মোল্লা,১নম্বর ব্লকের সভাপতি উমাপদ পূর্কাইত,মইদুল ইসলাম,নীতিশ মোদক,কালীদাস প্রমাণিক সহ মেলার আয়োজক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। ২নম্বর ব্লকের সভাপতি অরুময় গায়েন বলেন ডায়মন্ডহারবারে হাজার হাজার মানুষ তাদের সারা বছরের অভাব-অনটন দুঃখ কষ্টকে উপেক্ষা করে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে গ্রামীণ সংস্কৃতির ধারক ও বাহক এই ধরনের মেলা পার্বণ এর জন্য। কি নেই এই মেলায় ? দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার যোগ্য সমস্ত জিনিসের দোকান বসে এই মেলায়। বসে বড় বড় খাবার দোকান হোটেল শিশুদের জন্য থাকে একাধিক বিনোদনের ব্যবস্থা। ডায়মন্ড হারবার ২নম্বর ব্লকের এই মেলা এবছরও করোনার করালগ্রাস কে উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষের উচ্ছাস আনন্দ সবাইকে মনে করে দেয় যে, বেঁচে থাকার জন্য শুধুমাত্র অন্ন বস্ত্র বাসস্থানই যথেষ্ট নয় তার সাথে সাথে দরকার বিনোদন, আনন্দ । আর গরিব নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষদের যারা সমাজের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ এই সমস্ত মানুষের আনন্দ বিনোদনের একমাত্র উপায় হল এই মেলা পার্বণ । মেলা শেষ হলেই এই সমস্ত মানুষজন অপেক্ষায় থাকে আবার পরের বছর কবে কখন এই মেলা শুরু হবে সেই আশায়।