অসুস্থ রোগীকে মারধরের অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

চাঁচোল: স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করতে আসা এক রোগীকে মারধরের অভিযোগ উঠল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচোলের খরবা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। রোগীকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে ব্লক ও মহাকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন আক্রান্ত রোগীর পরিবার। যদিও বিষয়ে ওই চিকিৎসকের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন চাঁচল ১ নং ব্লকের খরবা এলাকার ষাটোর্ধ্ব বাসিন্দা আশীষ চৌধুরী। দুদিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি তড়িঘড়ি করে তাঁকে খরবা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক অভিজিৎ দাস সেই রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, গালিগালাজ ও চড় মারা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি ঘাড় ধাক্কা দিয়ে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার কারণে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন ষাটোর্ধ্ব রোগী। রোগীর সাথে দুর্ব্যবহার ও মারধরের অভিযোগ নিয়ে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্লক ও মহাকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের রোগীর পরিবার।

    এ ব্যাপারে রোগীর ছেলে অনিন্দ্য চৌধুরী জানিয়েছেন, বাবাকে খরবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ বাবার ফোনে ফোন আসলে বাবা একটু ফোনে কথা বলে। এই নিয়ে চিকিৎসক অভিজিৎ দাস চেয়ার থেকে উঠে এসে বাবাকে গালিগালাজ করে। শুধু তাই নয় আমার বাবার গালে থাপ্পড় মারা হয়। এমনকি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। আমরা এই নিয়েই আজ ব্লক ও মহাকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক কাছে ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলাম।

    যদিও এ বিষয়ে চিকিৎসক অভিজিৎ দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    এ বিষয়ে চাঁচোল ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই রোগী মুখে মাক্স ছাড়াই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসেছিলেন। কিন্তু মাক্স না থাকলেও কেন চিকিৎসক ওই ষাটোর্ধ্ব গায়ে হাত তুললেন তার কারণ আমরা খতিয়ে দেখছি।

    একজন চিকিৎসকের কাজ রোগীকে সুস্থ করা। কিন্তু সেই চিকিৎসকের মারেই যদি আহত হয় রোগী? তাহলে চিকিৎসার জন্য কোথায় যাবে রোগী ও তার পরিবার। এই ঘটনায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণমানুষ।