|
---|
নতুন গতি, ওয়েব ডেস্ক : মালদা-পাওনা টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে খুন হলেন এক শ্রমিক। ট্রেনের টিকিট কাটার টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে এই ঘটনা। রাস্তার ধারে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন পথচলতি মানুষ। গলায় তাঁর ইলাস্টিক দড়ি জড়ানো ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান।
এই ঘটনায় পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ২ জনকে আটক করেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি হবিবপুর থানা এলাকার। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম লালচাঁদ বর্মন(২৫)। সংশ্লিষ্ট থানার ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খানপুর গ্রামে বাড়ি তাঁর। পেশায় তিনি ভিন রাজ্যে মজুরের কাজ করেন। কয়েক দিন পর তাঁর রাজস্থানে শ্রমিকের যাওয়ার কথা ছিল। তাই ট্রেনের টিকিট কাটতে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত মিঠুন সাহাকে। তারও একসঙ্গে রাজস্থান যাওয়া কথা ছিল। টিকিট টাকার জন্য ১২০০ টাকা দিয়েছিলেন লালচাঁদ। অথচ টাকা ফেরত দিচ্ছিল না। সোমবার রাতে বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে লালচাঁদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাওয়া যায়। পাশেই ছিল তাঁর মোটর বাইকটি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ছিল আট মাইলের হাট। লালচাঁদ বিকেলে হাটে গিয়ে বাজার করে নিয়ে আসেন। তারপর বাইক নিয়ে সন্ধের দিকে বের হন। হাট ফেরত যাত্রীরা তাঁকে আশঙ্কাজন অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
মিঠুন সাহা ও তার এক সঙ্গীর বিরুদ্ধে খুন করা অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকেরা। মৃতের ভাই রূপচাঁদ বর্মন অভিযোগ করে বলেন, ‘দাদা ১২০০ টাকা দিয়েছিল টিকিট কাটার জন্য। সেই টিকিট না করাই দাদা ওই টাকা ফেরৎ চেয়েছিল অভিযুক্ত মিঠুনের কাছে। আমাদের সন্দেহ মিঠুনই ওই টাকার জন্য দাদাতে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছে। আমরা ওদের যথাযথ শাস্তি চাই।’ পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেহ ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতেল মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। খুন না আত্মহত্যা, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে পরিষ্কার হবে।’