|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : মুসলিম সুফি শাহ মেহেবুব, যিনি দাতা সাহেব নামে পরিচিত, তার মৃত্যু বার্ষিকীতে প্রতিবছর বীরভূমের সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাথরচাপুরিতে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই বছর নয় চৈত্র অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে এই মেলার সূচনা হয়েছে। করোনাকালে দু’বছর সেইভাবে মেলা না হলেও এই বছর দূরদূরান্ত থেকে মানুষের সমাগম হতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষের সমাগম হলেও সংসারে টান পড়েছে ভিক্ষুকদের। পাথরচাপুরি দাতা সাহেব মেলাকে পাখির চোখ করে প্রতিবছর রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অজস্র ভিক্ষুদের আগমন হয়ে থাকে। কারণ এই মেলায় তাদের উপার্জন থাকে চোখে পড়ার মতো। তাদের থেকে জানা গিয়েছে, তারা প্রতি বছর এই তিন চার দিনের মেলায় কমকরে ২৫ থেকে ৩০ কেজি চাল, সাত থেকে আট হাজার টাকা নগদ এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী উপার্জন করতে সক্ষম হন। কিন্তু এই বছর সেই উপার্জনের লেশমাত্র নেই, এমনকি আগামী কয়েকদিনে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশাও করছেন না তারা। কিন্তু কেন হঠাৎ তাদের ভাঁড়ারে টান পড়তে শুরু করেছে? এই প্রসঙ্গে মেলায় আগত দর্শনার্থীরা এবং ভিক্ষুক সম্প্রদায়ের একাংশ মনে করছেন, দু’বছর ধরে করোনাকালে অধিকাংশ মানুষেরই উপার্জন তলানিতে ঠেকেছে। আর সেই কারণেই সাধারণ মানুষের হাতে টান পড়ায় তারাও দানের হাত ছোট করছেন। এমন পরিস্থিতিতে এইসকল ভিক্ষুকদের উপার্জনের টান পড়ার কারণে তারাও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কারণ এই পাথরচাপুরি দাতা সাহেব মেলায় আসা হাজার হাজার ভিক্ষুকদের প্রতিদিন কড়া রোদেই বসে থাকতে হয়। তাছাড়াও অনেক ভিক্ষুককেই দেখা গিয়েছে হাওড়া সহ দূরদূরান্ত থেকে আসতে। এই পরিস্থিতিতে তারা যদি অন্যান্য বছরের মতো উপার্জন করতে না পারেন তাহলে তাদের কাছে তা অবশ্যই দুশ্চিন্তার।