আমার পাঠশালা’র গুনীজন সম্বর্ধনা ও বার্ষিক মিলন উৎসব

সেখ সামসুদ্দিন : ২৮ জানুয়ারি, দুঃস্থ, পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের শিক্ষার আলো দেখানো, পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে এমন-ই এক সংস্থা ‘আমার পাঠশালা’র পক্ষ থেকে গুনীজন সম্বর্ধনা ও বার্ষিক মিলন উৎসব বর্ধমান আদর্শ বিদ্যালয়ে করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক তথা গাছ মাস্টার অরূপ চৌধুরী, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ঈদ বক্স, শিক্ষারত্ন পলাশ চৌধুরী, তাপস কুমার পাল, বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী তথা সাংবাদিক শ্যামাপ্রসাদ চৌধুরী, সেখ জাহাঙ্গীর, সমগ্র শিক্ষা মিশণের ডিস্ট্রিক্ট কোঅর্ডিনেটর , শাসমল হাটী, তাহের আলী সেখ , বিশিষ্ট সাংবাদিকবৃন্দ। “আমার পাঠশালা”-র পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলকে পাঠশালার ক্যালেন্ডার, স্মারক, পেন ইত্যাদি দিয়ে সংবর্ধিত করা হয় । পাঠশালার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পাঠশালার সম্পাদক সন্দীপ পাঠক, সভাপতি মিন্টু পান্ডে, রাজকুমার লাহা, অতনু ঘোষ সৌরভ পাঁজা, তপন পাল, মোশারফ হোসেন। গুণীজন সংবর্ধনা ও সম্মিলনী উৎসব অনুষ্ঠানে “আমার পাঠশালা “-র ৫০ জন দুঃস্থ, সুবিধাবঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পেয়ারা, কলা, খেজুর, লেবু সহযোগে পুষ্টিকর খাদ্য সামগ্রী ও শিখন সামগ্রী l শিশুদের দুপুরের আহারের ব্যয়ভার বহন করেন পলাশ চৌধুরী ও লাবণ্য রায় l পুষ্টির দিশা কর্মসূচির ব্যয়ভার বহন করেন সুবোধ মালিক, শিখন সামগ্রী প্রদান করেন অম্লান মজুমদার ও বিপুল সন্ন্যাসী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পিছিয়ে পড়া শিশুদের মিষ্টিমুখ করান সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সুদীপ্ত পাল। বিশিষ্ট সঞ্চালক তথা সাংবাদিক শ্যামা প্রসাদ চৌধুরীর সুদক্ষ সঞ্চালনায় ছেলে মেয়েরা নৃত্য, আবৃত্তি, সঙ্গীত পরিবেশন করে অনুষ্ঠানের অন্য মাত্রা দেয়। সাংবাদিক সফিকুল ইসলাম বর্ধমানের অজানা ইতিহাস নিয়ে অকর্ষিক বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি শিক্ষারত্ন ও গাছ মাস্টার আমার পাঠশালা’র উদ্যোক্তাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আমার বা আমাদের ভাবতে পারার বিষয় আলোকপাত করে মনোজ্ঞ বক্তব্য রাখেন। সংস্থার পক্ষ থেকে সন্দীপ পাঠক জানান এই সব অসহায় শিশুদের শিক্ষার সঙ্গে বই খাতা, বস্ত্র, পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান সহ সারা বছর সামাজিক দায়বদ্ধতায় কাজ করে চলেছেন। পাঠশালার শিশুরা খুব আনন্দের সাথে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে।