দুর্নীতি প্রতিবাদ করায় গ্রেপ্তার আরামবাগ টিভির সম্পাদক বিস্ফোরক রাজ্যপাল

দুর্নীতি প্রতিবাদ করায় গ্রেপ্তার আরামবাগ টিভির সম্পাদক বিস্ফোরক রাজ্যপাল

    নিউজ ডেস্ক, নতুন গতি, আরামবাগ : দুর্নীতি খবর ফাঁস করায় গ্রেপ্তার একটি ইউটিউব চ্যানেলের সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকের গ্রেপ্তারি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে সংবাদমাধ্যমের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। রাতে ‘আরামবাগ টিভি’ ইউটিউব চ্যানেল এর সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক সফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সফিকুলের স্ত্রী আলিমা বিবি এবং আরেক সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে। তাঁদের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশনের নামে তোলাবাজির অভিযোগ ছিল। সফিকুল এবং সুরজের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয় আরামবাগ থানায়। যাতে অভিযোগ ছিল, সরকারি গাছ কাটা নিয়ে সুরজ এক ব্যক্তিকে হুমকি দিয়েছেন। অভিযোগকারীর দাবি সুরজ তাঁর আজ থেকে ৩০ হাজার টাকা তোলা হিসাবে চেয়েছেন। না দিলে গাছ কাটা নিয়ে দুর্নীতির খবর ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। এই মামলার ভিত্তিতে রবিবার ওই আরামবাগ টিভি সম্পাদককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একাধিকবার আরামবাগ ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে পুলিশের তোলাবাজি ভিডিও ফুটেজ বারবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত করেছে আরামবাগ টিভি সেই কারণে আরামবাগ টিভির সম্পাদক শরিফুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। এর আগেও আরামবাগ টিভির আধিকারীকদের দাবি ছিল পুলিশ সাফিকুল ও সুরোজের ওপর আগে থেকেই রাগান্বিত ছিল। এর আগেও সফিকুল এর বিরুদ্ধে বিতর্কিত খবর সম্প্রচারের মামলা করা হয়েছিল। যদিও আদালত তার গ্রেপ্তারি স্থগিতাদেশ দেন সেই সময়। সে মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।রবিবার রাতে আরামবাগ টিভি সম্পাদকের গ্রেপ্তারি পর সরব হন রাজ্যপাল ।একটি বার্তায় তিনি লেখেন” সরকারি টাকা বুক ক্লাব গুলির মধ্যে বিলি করার জেরে আরামবাগ টিভির সম্পাদক শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটা সংবাদ মাধ্যমের মৌলিক অধিকারের হস্তক্ষেপ।

    এভাবে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার অর্থ গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ। নিজের টুইটারে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এডিস গিল্ড এবং প্রেসক্লাবকে ট্যাগ করতে ভোলেননি।তবে শুধু এটাই নয় এর আগেও একাধিকবার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে দেশের নানা প্রান্তে নানা সময়। তবে টুইটারে রাজ্যপালের বক্তব্য এটিকে অন্য মাত্রা দিয়েছে বলাই যায়।
    রাজ্যের প্রশাসন সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে।