|
---|
উজির আলী, নতুন গতি, চাঁচল: ফুঁসছে মহানন্দা,আতঙ্কের থাবা বসিয়েছে গ্রামে। ইতিমধ্যেই নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে চাষের জমিও। বাংলা- বিহার সংযুক্ত মহানন্দা নদীর বাঁধ ভেঙে ২০১৭ সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল উত্তর মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকায়। গত দুই বছরে ২০১৯ অবশ্য ফুলহর নদীর রিঙ বাধ ভেঙে সারা রতুয়ায় ব্যাপক বন্যা দেখা গিয়েছে। ফুলহর নদীর ভাঙনে জেরবার হয়ে পড়েছিল রতুয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা।
তবে এবছর মহানন্দার জল ক্রমশ বাড়তেই চলেছে। তবে মহকুমা চাঁচল থানা এলাকার ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে রীতি মতো বেড়েছে আতঙ্কও। বিশেষ করে, ভাঙন কবলিত চাঁচল ১ নং ব্লকের মহানন্দাপুর,ভগবানপুর, মতিহারপুর ও খরবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মহানন্দা নদীর পাড়ের গ্রামগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বেশি।
এছাড়াও চাঁচল-২ নং ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আতঙ্কের সাড়া মিলেছে। এদিকে, চন্দ্রপাড়া জিপির খানপুর গ্রামে ২০১৭ সালে বন্যা বাধ কেটে যায়। যদিও বাধটিকে পুনরায় তৈরী করা হয়েছে। তবে সেই রাস্তা পিচরোড করা হয়নি! তবে ইট সোলিং করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।
চাঁচল থানার মহানন্দার নদীর জল ক্রমশ বাড়তে চলেছে। ইতিমধ্যে মহানন্দা সংলগ্ন চাষের জমি নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে। তবে গত চারদিন থেকে জল বাড়ছেই বলে জানান গালিমপুরের বাসিন্দা হারূন- অল রশিদ। তিনি জানান, গত তিন দিন ধরে যে হারে মহানন্দার জল বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে মানুষ বন্যার আশঙ্কা করছে। ইতিমধ্যে নদীর তীরবর্তী বহু জমির ফসল বিশেষ করে পাটের জমি জলে তলিয়ে গেছে। বহু কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন। নদীর ওপারে উত্তর দিনাজপুর সংলগ্নে মালদা জেলার অনেকেই পাট চাষ করেছে।
শুধু গালিমপুর এলাকার মানুষের ৭০-৮০ বিঘে পাট জলে তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। গালিমপুরের কৃষক নাসিম আলী জানান, জলে পাঁচ বিঘে জমির পাট তলিয়ে গেছে। পাট কেটে আর সংগ্রহ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই এলাকার বহু পাট চাষীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও খরবা জিপির তারাপুরে বাদল হোসেনের সব্জী চাষ করা জমি জলে ডুবেছে। পটল চাষ হয়েছিল এবার সব ডুবেছে।
লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির অনুমান করছেন এলাকার চাষীরা।
আর তিন-চার হাত জল বৃদ্ধি পেলেই গালিমপুর বাজার জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়েছেন গালিমপুর বাসী।
মালদা জেলা পরিষদের কৃষি সেচ ও সমবায় দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হোসেন বলেন,মহানন্দায় জল বাড়ছে ঘটনা শুনেছি। এবিষয়ে সেচ দপ্তরকে জানানো হয়েছে।