ঘরে বসে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার অভুক্তদের আহার জোটাচ্ছেন সমাজসেবী আশিক-ই রহমান

উজির আলী,নতুনগতি,মালদা:২১ শে মে

    তিনি নিজে কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত নন। তবে পরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও বন্ধু মারফত  এলাকার দুর্দশার কথা জানতে পেরে লকডাউনে সাহায্যের হাত বাড়িয়েই দিয়ে চলেছেন এক সমাজ সেবী তথা শিক্ষক। আর তা ঘরে বসেই শতশত কিলোমিটার দূরে বসেই দুঃস্থদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন এক সমাজকর্মী। তিনি একজন সরকারি কর্মী হিসেবে একজন শিক্ষক।

    জানা গেছে তার আদি বাড়ি মুর্শিদাবাদে। কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতার পার্ক সার্কাসে। সেখান থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম থানা এলাকার পঞ্চগ্রামে ৫০ টি মুসলিম ও ২১ টি হিন্দু পরিবারের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী সহ নিত‍্য প্রয়োজনীয় দ্রব‍্য।

    ওই সমাজকর্মী তথা শিক্ষকের নাম আশিক-ই রহমান। তিনি ওই এলাকায় কয়েকজন পরিচিতের মাধ্যমে দুঃস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিলি সম্পন্ন করেছেন। ওই এলাকায় হিন্দু-মুসলিম মিলিয়ে ৭১ টি পরিবারের হাতে ৩ কেজি চাল, ১ কিলোগ্রাম আলু, ৫০০ কিলোগ্রাম পেয়াজ, ও এক প‍্যাকেট সয়াবিন সহ জীবানুনাশক লাইফবয় সাবান প্রদান করেছেন বলে খবর।

    করোনা সংক্রমন রুখতে ঘনঘন লকডাউন চলছে।
    তা চতুর্থ দফায় পৌঁছেছে দেশবাসীর কাছে।
    আর এই লকডাউনে চরম বিপাকে পড়েছেন দিন আনি দিন খাই তথা খেটে খাওয়া দিন মজুর মানুষেরা। রেশন মিললেও তা দিয়ে বেশিদিন চলছে না। এই দুঃস্থ বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ব্যাঙ্ককর্মী, পুলিশ, দমকল কর্মীরাও নিয়মিত সাহায্য করে চলেছেন। পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে যেভাবে আশিক কি ই রহমান এত দুর থেকেও নবগ্রাম থানা এলাকার পঞ্চগ্রামের দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে খুশি দুঃস্থ বাসিন্দারা। তারা ত্রান দাতাকে স্বচক্ষে না দেখলেও দূর থেকেই তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। লকডাউন না উঠলে ফের সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আশিক বাবু।

    লকডাউ শুরু থেকে চতুর্থ দফা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রায় ১৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রান পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানান আশিক ই রহমান। এছাড়াও তিনি রাজ‍্যের বিভিন্ন জেলার দুর্দশাগ্রস্থ এলাকায় খাদ‍্য সামগ্রী পাঠানোর পরিকল্পনাও করে চলেছেন। দুঃসময়ে আশিক বাবুর এই মানবিক উদ‍্যোগকে আমরা কুর্নিশ জানায়।