|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : পথকুকুরদের নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তারকেশ্বরে । গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৪০ জনকে কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা সামনে এসেছে এলাকায় । সাধারণ পথচারী থেকে মন্দিরে পুজো দিতে আসা পুণ্যার্থী, কেউই কুকুরের কামড় থেকে বাদ যাননি বলে জানা গিয়েছে। তাতে ভিড় জমেছে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালেও। কুকুরে কামড়ানোর চিকিৎসা করাতে সেখানে দলে দলে হাজির হয়েছেন মানুষজন । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে বিভিন্ন সময়ে তারকেশ্বর এলাকায় ক্ষণে ক্ষণে কুকুরে কামড়ানোর ঘটনা সামনে আসছে। আচমকা হাজির হয়ে, কামড় বসিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে পথকুকুর। প্রয়োজনীয় কাজে বেরিয়ে, বাজার করতে বেরিয়েও কুকুরের কামড় খেয়েছেন অনেকে। বাদ যাননি মন্দিরে জল ঢালতে যাওয়া পুণ্যার্থীরাও । শনিবার রাতেই শুধু এদিক ওদিক তারকেশ্বরে কমপক্ষে ১৫ জনকে কুকুরে কামড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আরও ২৫ জন কুকুরের কাড় খেয়েছেন। তাঁরাও চিকিৎসার জন্য গ্রামীণ হাসপাতালেই ছুটে যান। রবিবার সকালে চাঁদুর এলাকা থেকে সাইকেলে চেপে তারকেশ্বরে বাজার করতে এসেছিলেন নির্মল ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘‘চাউলপট্টী এলাকা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে একটি কুকুর এসে কামড়ে ধরে। ছাড়াতে পারছিলাম না কিছুতেই। লোক জড়ো হওয়ার পর কুকুরটিকে ছাড়ানো সম্ভব হয়।’’মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে তারকেশ্বর মন্দিরে জল ঢালতে এসেছিলেন সুজয় মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘তারকেশ্বর-বৈদ্যবাটি রোড থেকে মন্দিরে যাওয়ার পথে হঠাৎ করেই একটা কুকুর এসে কামড়ে দিল। হাসপাতালে এসে দেখি আরও ১০ জন রয়েছেন। প্রশাসনের একটা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’
তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক শুভজিৎ মণ্ডল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৪০ জন ডগবাইট নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছেন। হাসপাতাল থেকে যা যা পরিষেবা দেওয়ার, ইনজেকশন, প্রয়োজনীয় ওষুধ, তার সবই দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে প্রশাসনকেও বিষয়টা জানানো হয়েছে।’এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তারকেশ্বর পৌরসভার কাউন্সিলর স্বপন সামন্ত জানিয়েছেন,বিষয়টি নিয়ে পশুপ্রেমী সংস্থা এবং বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘একাধিক মানুষকে কুকুরে কামড়ানোর খবর এসেছে। হাসপাতালেও কয়েক জনকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর পাশাপাশি পশুপ্রেমী সংস্থা এবং বন্য দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’