আউসগ্রামের এড়াল জামিয়া ইসলামিয়া মাজাহিরুল উলুম মাদ্রাসাতে রক্তদান শিবির

আজিজুর রহমান : আউসগ্রামের এড়াল জামিয়া ইসলামিয়া মাজাহিরুল উলুম মাদ্রাসায় একটি রক্তদান শিবির করল মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। এদিন তাদের উদ্দ্যোগে মাদ্রাসার পঞ্চাশ জন শিক্ষক ও ছাত্র স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। পাশাপাশি ওই শিবিরে এসে এলাকার বেশ কিছু সাধারণ মানুষও রক্তদান করেন বলে জানা গেছে।  শিবিরে আগত অতিথিদের ব্যাচ পরিয়ে স্মারক ও ফুল দিয়ে সম্মানিত করা হয়। রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে শিবিরে উপস্থিত ছিলেন, পুর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি, মহঃ আসরফ উদ্দিন। এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা তৃনমুল নেতা আব্দুল লালন, অরুপ মিদ্দা, বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য কাকলী রাজা, বর্ধমান হাই মাদ্রাসার প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সেখ ফিরোজ আহম্মেদ, এড়াল গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান উজ্জ্বল পাল সহ অনেকে। সমাজে সম্প্রীতির বার্তা দিতেই এমন উদ্দ্যোগ নিয়েছেন উদ্দ্যোক্তারা।

    জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মহঃ আসরাফ  উদ্দিন বলেন, সকলেই মিলিত প্রচেষ্টায় এই রক্তদান শিবিরটি করা হয়েছে। আগামীতে এই রকম শিবির আরও করা হবে। রক্তদাতা তথা মাদ্রাসার শিক্ষক  তাজউদ্দিন মল্লিক ও মুজিবর রহমান বলেন, ভারত বর্ষের মাটি সম্প্রীতির মাটি। সেই সম্প্রীতি আজও অক্ষুন্য আছে। মুসলিমের রক্ত হিন্দুর গায়ে যাবে হিন্দু হিন্দুর রক্ত মুসলিমের গায়ে যাবে। এই ফলে আমাদের ভাতৃত্বের বন্ধন আরও মজবুত হবে। তারা বলেন, আমাদের দেওয়া রক্ত কোন হিন্দু ভাইয়ের প্রান বাঁচবে। এটাই তো আমরা চাই। এদিনের শিবিরে এসে মাদ্রাসাকে দশ হাজার টাকা দান করেন, তৃণমূল নেতা তথা এলাকার বিশিষ্ঠ সমাজসেবী আব্দুল লালন। তিনি বলেন, মাদ্রাসার নামে যারা কুৎসা করে আজ তারা দেখুক কত ভাল ভাল কাজ করে মাদ্রাসা। এই কাজ কতবড় মহৎ কাজ তা মুখে বলা যাবেনা। আজকে তার সাথে এলাকার বহু হিন্দু ভাইও এই মাদ্রাসায় এসেছেন। তা দেখে তাদের সকলকে খুব ভালো লাগছে।