সঠিক কাগজপত্র না দেখাতে পেরে, অবৈধ নির্মান ভাঙতে এসে পিছু হটতে হলো রেলকে

জলপাইগুড়ি: সঠিক কাগজপত্র না দেখাতে পেরে, অবৈধ নির্মান ভাঙতে এসে পিছু হটতে হলো রেলকে। শনিবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে অবৈধ নির্মান ভাঙতে এসে এলাকার ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে পড়েন রেলের আধিকারিকেরা। এরপর অবৈধ নির্মান ভাঙার কাজ বন্ধ রেখেই ফিরে যান রেল আধিকারিকেরা।

    জাতীয় সড়কের পাশে, রেল লাইনের ধারে গজিয়ে ওঠা অবৈধ হোটেল সহ বিভিন্ন দোকানের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানে নামে রেল দপ্তর। শনিবার জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি রোড থেকে উল্লাডাবরি পর্যন্ত ৩১ নং জাতীয় সড়কের পাশে এই অভিযান চালানো হয়। কিছুদিন আগেই ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে গজিয়ে ওঠা হোটেল, দোকান, রেস্তোরাঁগুলি ভাঙার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশ জারি করেছিল রেল দপ্তর। এরপরেও ব্যবসায়ীরা দোকানপাট না ভাঙ্গায়, এদিন ময়নাগুড়ি পুলিশ ও রেল দপ্তর যৌথ উদ্যোগে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবৈধ দোকান উচ্ছেদের অভিযানে নামে। কিন্তু একটি মাত্র দোকান ভাঙ্গার পরেই উচ্ছেদ সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চান ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এই সংক্রান্ত কোন কাগজ দেখাতে পারেনি রেল দপ্তরের আধিকারিকরা। এরপর এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও এই বিষয়ে রেল দপ্তরের তরফে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এর পরেই রেল দপ্তরের আধিকারিকরা সেখান থেকে চলে যান।

    জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পাপন চক্রবর্তী বলেন,  আচমকাই রেল দপ্তর এসে দোকান-পাঠ ভাঙতে শুরু করে। তাদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেননি। রেল দপ্তর লিগাল নোটিশ জারি করলে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট অন্যত্র সরিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের না জানিয়ে রেল দপ্তরের এই অভিযান ঠিক নয় বলেই অভিযোগ জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পাপন চক্রবর্তীর।