বাড়ছে গঙ্গার জল,আতঙ্কের মধ্যে কাটছে দিন একাংশ মালদাবাসীর

নতুন গতি, মালদাঃ গঙ্গার জল বাড়তে শুরু করায় মালদা জেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত কালিয়াচক ৩, মানিকচক ও রতুয়া ১ ব্লকের গঙ্গা পাড়ের গ্রামগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বেশি। বেশ কিছু এলাকায় সেচ দফতরের তরফে ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ হলেও অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ না হওয়ায় সেই এলাকাগুলিতে ভাঙনের জোর আশংকা রয়েছে। এদিকে গঙ্গার পাশাপাশি জেলায় বাড়ছে ফুলহর ও মহানন্দা নদীর জলও।

    গত বছর জেলায় বন্যা হয়নি তবে ব্যাপক নদী ভাঙ্গনে জেরবার হয় জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যায় বিঘার পর বিঘা আবাদি জমি, ঘরবাড়ি। এবারও ফের বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গার জল। আর তাতেই ভাঙ্গনের আতঙ্ক গ্রাস করেছে জেলার গঙ্গা পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। গঙ্গা নদীর ভাঙন ঠেকাতে গতবছর কালিয়াচক ৩ ব্লকের পারলালপুর থেকে পারঅনুপনগর পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকায় গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ হয়েছিল। কিন্তু গঙ্গার জলের তোড়ে সেই ভাঙন প্রতিরোধের কাজ বেশ কিছু জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ বছরের শুরুতে পারলালপুরের রাধাগোবিন্দ মন্দির থেকে অনুপনগর পর্যন্ত ৪৬০ মিটার এলাকায় বালির বস্তা ফেলে গত বছরের সেই ভাঙ্গনরোধের কাজের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হয়। কিন্তু গোলাপ মন্ডলপাড়া, পারপরানপাড়া, খাসপাড়া এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের কোন কাজ এবারে হয়নি। আর তাই, গঙ্গার জল বাড়তে শুরু করায় এই চারটি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক গ্রাস করেছে। গোলাপ মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা ক্ষুদু মণ্ডল বলেন, “গত বছর ভাঙনে আমার ১০ বিঘা আবাদি জমি গঙ্গা গ্রাস করেছে। এখন ভরসা শুধু সামান্য কিছু জমি ও নিজের ভিটেটুকু। এবারও যদি ফের জোরদার ভাঙন হয় তবে বাড়ি টিকিয়ে রাখতে পারব না।” আরেক বাসিন্দা নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, “গঙ্গার জল বাড়তে শুরু করেছে। ভাঙ্গন জোরদার শুরু হলে ঘরবাড়ি হয়তো এবার সরাতে হবে।” গঙ্গা ভাঙ্গনের আতঙ্কে উদ্বেগে ছড়িয়েছে মানিকচক ব্লকের ভূতনির নন্দীটোলা, কালুটোন টোলা, বাঘেদান টোলা গ্রামগুলিতে। সেচ দপ্তরের মালদা ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণব সামন্ত বলেন, “জল বাড়তে শুরু করলেও এখনও উদ্বেগের কিছু নেই।”