বর্ধমানে অভিনব ভাই ফোঁটা মহাদেবের কপালে ফোঁটা দিলেন কেরিমা বিবি।

লুতুব আলি, বর্ধমান, ২৬ অক্টোবর : ২৭ অক্টোবর ভাইফোঁটা। ভাই ফোঁটার প্রাক্কালে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে এক অভিনব ভাইফোঁটার আসর বসেছিল। আয়োজক পূর্ব বর্ধমান জেলার অগ্রজ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বর্ধমান সদর প্যায়া রা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সমাজের অবহেলিত, নিষ্পেষিত ও আর্থিকভাবে বিপন্ন বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের ভাই ফোটার আসরে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিজেদের খরচায় তাদের অনুষ্ঠানে বহন করে এনেছিল এই সংগঠনটি। তাদের মধ্যে কেউ রিক্সা চালাতে কেউবা অপরের বাড়িতে কাজ করতেন কেউ বা দিনমজুরের কাজ করতেন বয়সের ভারে তারা আজ কাজ করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেছে। এই সমস্ত স্তরের পুরুষ ও মহিলাদের সংগঠিত করে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি বর্ধমান শহরের বিভিন্ন পল্লী ও প্রত্যন্ত এলাকা থেকে তাদের সংগ্রহ করে আনেন। এদিন ভাই ফোঁটার নিয়ম মেনেই বোনেরা ফোটা দিল ভাইয়েদের কপালে এবং উপহার দিল পাঞ্জাবি। ভাইয়েরা বোনেদের উপহারস্বরূপ তুলে দিলেন নতুন শাড়ি। সঙ্গে খাওয়া দাওয়া ছিল ফ্রি বর্ধমান শহরের ৩নং শাঁখারি পুকুর ম্যালেরিয়া অফিস কালী মন্দিরের সামনে এই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করতে বহু মানুষের জনসমাগম হয়। কেরিমা বিবি ফোঁটা দিলেন মহা দেবের কপালে। না না এই সেই কৈলাসের মহাদেব নন। এই মহাদেব হলেন বর্ধমান শহরের পল্লী এলাকার দুস্থ ব্যক্তি মহাদেব বাউরী। খাইরুন্নেসা খাতুন ফোঁটা দিলেন পঞ্চম পাসোয়ানকে। মামনি ঘোষ ফোঁটা দিলেন মন্টু শেখ কে। এছাড়াও ছিলেন সুরবালি সরেন, আনোয়ারা বিবি, ধনঞ্জয় পাল, সুমিত্রা চৌধুরী প্রমুখ। সংস্থার সদস্যা চৈতালী ঘোষ ও অঙ্কিতা সাম জানান, এদিন ৬০ জন দুস্থ মানুষদের ফোঁটার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সংস্থার পুরধ তথা সম্পাদ ক প্রলয় মজুমদার বলেন, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান পুরুষ, মহিলা ও তৃতীয় লিঙ্গের অসহায় মানুষদের সমবেত করে ফোটার মাধ্যমে সৌভ্রাতৃত্বের মেলবন্ধন গড়ে তোলার বার্তা দেয়া হল।