বর্ধমানের বিধায়ক খোকন দাসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হল বর্ণাঢ্য গণবিবাহ।

লুতুব আলি, বর্ধমান, ৫ ডিসেম্বর : বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাসের নেতৃত্বে ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হল গণবিবাহ। এদিন বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর রথ তলা কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দিরে গণবিবাহের আসর বসে। হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের ১০১ জোড়া পাত্র পাত্রীর গণবিবাহ দেওয়া হয়। গণবিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও চন্দ্রনাথ সিনহা। গণবিবাহের মূল উদ্যোক্তা খোকন দাস জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্ত জনসেবা মূলক কাজ করছেন তাতে অনুপ্রাণিত হয়ে বিগত ৯ বছর ধরে এই গণবিবাহের আয়োজন করে আসছি। এই অনুষ্ঠান করতে অনেকে এগিয়ে এসে সহযোগিতা করছেন। উল্লেখ্য, সান্ধ্যকালীন গণবিবাহের অনুষ্ঠানটি প্রাঞ্জল হয়ে ওঠে। বোঝাই যাবে না যে এটা গণবিবাহের অনুষ্ঠান। কন্যা পক্ষ পাত্রপক্ষদের যেমন আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাগত জানান ও অতিথি আপ্যায়ন করেন তার থেকেও বেশি এখানে আপ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল। আনন্দের এতোটুকু ঘাটতি ছিল না। বাজনার তালে তালে পাত্র-পাত্রীদের বর্ধমান শহর পরিক্রমা করানো হয়। এই পরিক্রমায় হাজার হাজার মানুষ পা মেলান। বর্ধমানের প্রিয় বিধায়ক খোকন দাস ও এই পদযাত্রায় পাও মেলান। খোকন দাস আর ও জানান, পাত্র-পাত্রীদের খাট, আলমারি, সোনার গহনা, সেলাই মেশিন, সাইকেল সহ ১৭ রকমের আইটেম দেওয়া হয়। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল অনন্য সাধারণ। পাত্র-পাত্রীদের দেড় লক্ষ টাকা করে জীবন বীমা করে দেওয়া হয়। জন সেবামূলক কাজের জন্য খোকন দাস ইতিমধ্যে জাতীয় স্তরে অনেক পুরস্কার ভূষিত হয়েছেন। গণবিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা সকলে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কমনাশিস সেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারা, বর্ধমান মহিলা থানার আই.সি বনানী রায় সহ বর্ধমান পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলর ও জনপ্রতিনিধিরা।