|
---|
লু তু ব আলি :
চার দশক ধরে বর্ধমান জাগরণী সাহিত্য চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। গত ২৭ মার্চ বর্ধমান জাগরণীর বর্ধমান কার্যালয়ে এক ত্রৈমাসিক সাহিত্য সভার আয়োজন করা হয়। সাহিত্যসভায় বর্ধমান জাগরণী পত্রিকা সম্পাদক বিকাশ বিশ্বাস তাঁর স্বাগত ভাষণে বলেন, বর্ধমানের সাহিত্যচর্চায় বর্ধমান জাগরণী ধারাবাহিকতা ও পরম্পরার ক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে। বর্ধমান জাগরণীর সভাপতি ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক সত্যনারায়ণ মাজিলা বলেন, রাজ রাজাদের আমলে ও কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিকরা মর্যাদা পেতেন। অবক্ষয়ই সমাজ ব্যবস্থায় তাঁরা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন। সাহিত্য চর্চায় বৈঠকি আড্ডা ও আজ হারিয়ে গেছে। এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ধর্মমঙ্গল কাব্যের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি ঘনরাম চক্রবর্তী অষ্টম পুরুষ সঙ্গীতজ্ঞ বিশ্বরূপ চক্রবর্তী, কবি ও প্রাবন্ধিক আবু মনির উদ্দিন চৌধুরী, বর্ধমান সাহিত্য অঙ্গনের সভাপতি লক্ষণ দাস ঠাকু রা, আশিস মণ্ডল, অরিন্দম ব্যানার্জি প্রমুখ। এই সাহিত্য সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সঙ্গীত শিল্পীরা যোগদান করেন। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন, দেবব্রত মুখার্জী, বিপদতারণ মিশ্র, রিতা বসু ধর, সুজিত কুমার গুই, চয়ন কুমার রায়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন চন্দনা দে দত্ত, সৃজা ব্যানার্জি, বর্তিকা বিশ্বাস, শম্পা সামন্ত প্রমুখ। উল্লেখ্য, বর্ধমান জাগরণী নামে একটি ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হয়।