বর্ধমানের উপকণ্ঠে বড়শুলে বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস

লুতুব আলি : বর্ধমানের উপকণ্ঠে বড়শুলে বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস হিন্দোল এর। বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের হিন্দোল কালচারাল ইউনিটের পক্ষ থেকে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১ তম প্রয়াণ দিবস পালন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বর্ধমান ড্রামা কলেজের অধ্যক্ষ লোলিত কোনার। স্বাগত ভাষণ দেন হিন্দোল এর প্রাণপুরুষ প্রধান পরিচালক রবীন্দ্র অনুরাগী বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব তরুণ রায়। উল্লেখ্য, প্রায় দুই দশক ধরে তরুণ রায় একক প্রচেষ্টায় ও পরে হিন্দোল কালচারাল ইউনিট প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বকবি কে স্মরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস টি তাঁর বাড়িতে প্রায় দুই দশক ধরে পালন করে আসছেন। তাঁকে এ ব্যাপারে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করেন স্ত্রী শুভ্রা রায় দুই মেয়ে রূপশ্রী রায়, অনুশ্রী রায় সহ বাড়ির সকলেই। হিন্দোল কালচারাল ইউনিট বর্ধমানের সীমানা ছাড়িয়ে সর্বভারতীয় স্তরে নাটক প্রযোজনা ও মঞ্চস্থ করে অনেক প্রথম পুরস্কার হিন্দোল এর ভান্ডারে সঞ্চিত হয়েছে। এতে হিন্দোল সমৃদ্ধ হচ্ছে বলে এলাকার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের অভিমত। এই দিনের অনুষ্ঠানে দুই প্রথিতযশা নাট্য ব্যক্তিত্ব ও বাচিক শিল্পী লোলিত কোনার এবং স্বপন সাঁই কবিতা আবৃত্তি করে প্রশংসিত হন। কবির প্রয়াণ দিবসের বিশেষ প্রাপ্তি রবীন্দ্রনাথের খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন হিন্দোল এর প্রযোজনা ও পরিচালনার শ্রুতি নাটকটি সকলের নজর কাড়ে। রায় চরনের চরিত্র এ তরুণ রায় ও গিন্নি মার ভূমিকায় নীলা মোদক অভিনয়ে সাবলীলতার ছাপ ফেলেছেন। এই শ্রুতি নাটকে অন্যান্য ভূমিকায় অংশগ্রহণ করেন শত দল চন্দ্র, রুপশ্রী রায়, ত্রিলোকেশ মন্ডল, সুমনা গোস্বামী। মেঘনা মোদকের আবহ সংগীত শ্রুতি নাটকটি কে প্রাণবন্ত করে তোলে। অনুষ্ঠানের সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ড. বিপ্লব চক্রবর্তী, চন্দনা সরকার, অভ্রজিৎ ঘোষাল প্রমুখ। নৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সুকন্যা মন্ডল, অহনা গোস্বামী। এছাড়াও কবিতা আবৃত্তি করেন রমাপতি হাজরা, প্রবীর হালদার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়শুল ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌরাঙ্গ লাল বসু, দেবশঙ্কর মোদক, শিখা সরকার প্রমুখ। এক সাক্ষাৎকার এ বলেন, কবিগুরুর মৃত্যু নাই, তাঁর মৃত্যু হয় না, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে তিনি নতুন করে ফিরে আসেন। তিনি অমর, চিরন্তন।