বর্ধমানে এন আর সি বিরোধী মহামিছিলে জনজোয়ার

নিজস্ব সংবাদদাতা : এনআরসি, সিএএ, এনপিআর বিরোধী মহামিছিলের জনজোয়ারে ভাসল পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর বর্ধমান। শহরের পৌর নির্বাচনের পূর্বে প্রতিবাদী মানুষের এই স্রোত দেখে আত্মবিশ্বাসী জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক খোকন দাশের আহ্বানে এই মহামিছিলে অংশ নেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়ক, বিডিএর চেয়ারম্যান রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন কাজী প্রমুখ। আহ্বায়ক খোকন দাশ বলেন, এনআরসি, সিএএ, এনপিআর এর বিরুদ্ধে দেশে আন্দোলনের পথ দেখিয়েছন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদির দেখানো পথে আজ পথে নেমেছে সারা দেশ। বর্ধমানও পিছিয়ে নেই মানুষের ব্যাপক যোগদানে আজ প্রমাণিত। বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলাই আজ দেশকে পথ দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষের প্রতিবাদ আন্দোলনের মাধ্যমেই এন আর সি, সিএএ, এনপিআর বাতিল হবেই। জেলা সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন কাজী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আজকের এই মহামিছিলে আজ প্রমাণ হয়ে গেল, যে সব মানুষ ভুল বোঝে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা আবার ফিরে এসেছেন। ফিরে এসেছেন এই কারণে, মানুষের লড়াইটা দেশে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ই লড়ছেন। সবাই বসে আছেন, পথে আছেন দিদি। দিদি থাকলে কারো ক্ষমতা নেই বাংলার বুকে এনআরসি, সিএএ, এনপিআর চালু করে। তৃণমূল কংগ্রেসের এই মহামিছিলকে ঘিরে জনউৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, তৃণমূলের এই মহামিছিল আসন্ন পৌর নির্বাচনের মুখে শাসকদলকে শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত করে দিল। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করেন, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিজয়ী হলেও তৃণমূলের জনসংযোগে, মানুষের বিজেপির ওপর মোহভঙ্গ হচ্ছে তা এই মহামিছিলে স্পষ্ট হয়ে গেল।