তৃণমূল কংগ্রেসকে আঘাত করলে আরো শক্ত হয়- অজিত মাইতি

সেখ মহম্মদ ইমরান, নতুন গতি,আনন্দপুর:শনিবার আনন্দপুরে গেরুয়া শিবিরের পাল্টা সভা করলো কেশপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। কয়েকদিন আগে আনন্দপুর স্পোর্টিং ক্লাব মাঠে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা হাজার দেড়েক লোকের সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে তুলোধনা করে গেছিলো। তার পাল্টা শনিবার বিকেলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অসাংবিধানিক NRC, NPR ও CAA এর বিরুদ্ধে কয়েক হাজার লোকের সভা করলো কেশপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস।

    এদিন কেশপুর ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার লোকের স্রোত এসে পৌঁছায় সভাস্থলে। এই সভাস্থলে তিল ধারণের জায়গা ছিল না।এদিনের সভায় বিজেপি নেতা নেপাল ঘোষ, আফগান সহ কয়েকশ বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন। তাদের হাতে পতাকা তুলে দেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। তাদের যোগদানের প্রসঙ্গে বিধায়ক শিউলি সাহা বলেন , ওদের দেহটা ছিল বিজেপিতে আর মন ছিল তৃণমূল কংগ্রেসে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যোগদান করেন। এদিনের সভার মঞ্চ থেকে জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, আজ বৃষ্টি হয়ে মাঠটা ধুইয়ে দিচ্ছে এই জন্যই কিছুদিন আগে এখানে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা যে পাপ করে গেছে ভগবান সেই পাপ আজ বৃষ্টির জলে ধুইয়ে দিচ্ছে। হেলে ধরতে পারে না, কেলে ধরতে চায় রাহুল সিনহা ,দিলীপ ঘোষরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে গেলে আয়নায় চোদ্দবার মুখ দেখতে হবে। আজকে যারা মিছিলে এলেন তারা ভগবান-আল্লাহ।

    বিজেপি যদি ভাবে আনন্দপুরে ভগবান আল্লাহর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দেবে, তাহলে ভগবান আল্লাহ ওদেরকেই ধবংস করে দেবে, উপনির্বাচনে তার প্রমান। তৃণমূল কংগ্রেস এমন একটি দল যাকে আঘাত করলে সে আরো শক্ত হয়।

    এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, জিলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা, কেশপুর ব্লক সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী, সহ সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তী, জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা কেশপুরের রবিনহুড মহম্মদ রফিক, জেলা সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, জেলা সংখ্যালঘু সেলের কার্যকরী সভাপতি আলী আকবর খান, জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি সেখ ওবাইদুর রহমান, কেশপুর কলেজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অবজারভার আসিফ ইকবাল, কেশপুরের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি চিত্ত গড়াই সহ অন্যান্য নেতৃত্ব বৃন্দ। আজকের এই সভার বহর দেখে আপ্লুত নেতৃত্ববৃন্দ। লোকসভা ভোটের পর কেশপুরের বাম ও বিক্ষুব্ধ ডানের কিছু লোক গেরুয়া শিবিরে চলে গেলেও তিনটি উপনির্বাচনের বিজেপির শোচনীয় হারের পর কেশপুরে আবার সবুজ শিবির তার মাটি পুনরুদ্ধারে নামে এবং তা সফল হয়। এদিনের পর থেকে কেশপুরে আর গেরুয়া শিবিরের অস্তিত্ব রইল না।