ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে কোটি কোটি টাকা লুট করা হয় অথচ রমজান মাসে সাহায্য পায় না কেন? প্রশ্ন অধীর রঞ্জন চৌধুরীর

জৈদুল সেখ, কান্দী : মুর্শিদাবাদের ৬৮ কান্দী বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চার জোট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী শফিউল আলম খান ( বনু খাঁ) সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হলো কান্দীর মহলন্দী বাজারডাঙ্গা ময়দানে।
মঙ্গলবার দুপুর থেকেই থেকেই মানুষের সভায় ভিড় বাড়তেই থাকে, বিকেলে ৫ টা সময় মাঠে হেলিকপ্টার পৌছায়, সেখানে থেকে নেমে প্রথমে সারা মাঠ পরিক্রমা করেন, এর পর বক্তব্য শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরুধী কৃষি বিল এবং সাম্প্রদায়িক দল বিজেপি থেকে মানুষ দূরে থাকার পরামর্শ দেন, তার পর রাজ্য সরকারের মুসলিম তোষণ প্রসঙ্গে বলেন ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে কোটি কোটি লুট করছে মমতা ব্যানার্জীর সরকার অথচ পুজোর সময় হিন্দুদের ক্লাবে টাকা দেওয়া হয় কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে কেন টাকা দেওয়া হয়না? প্রশ্ন করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। কান্দী মাষ্টার প্লান অর্থাৎ জল প্রকল্পের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন যে আমরা চেয়েছিলাম প্রতিবছর বন্যার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিয়ে কান্দী মাষ্টার প্লান করে আশীর্বাদ নিয়ে আসতে কিন্তু কিছু দালাল তারা এটাকে নষ্ট করতে চেয়েছে, প্রসঙ্গ অধীরের এক সময়ের সঙ্গী বর্তমানের তৃণমূলের প্রার্থী অপূর্ব সরকারকে ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন।

    সাম্প্রতিক বিজেপি এবং তোষনকারী তৃণমূল রুখতে এবং হটাতে আমরা সিপিএম তথা বামফ্রন্ট এই এস এফের সঙ্গে জোট বদ্ধ হয়েছি, সেই মহাজোট মোর্চার কান্দী বিধানসভার প্রার্থী শফিউল আলম খানকে আপনারা বিশ্বাসের সঙ্গে জয়ী করুন, কারণ বনু খাঁ মাটির মানুষ আর যাই করুক মানুষের সঙ্গে বেইমানি করবে না।

    শীতলকুচির জোড়পাটকি এলাকায় ১২৬ নম্বর বুথে সিআইএসএফ-এর গুলিতে একসঙ্গে ৪ জনের নিহত হন। এই ঘটনা ঘিরে দিনভর বিজেপি এবং তৃণমূলের চাপানউতর চলে। তবে চতুর্থ দফার ভোটে হিংসা, হানাহানির বাড়বাড়ন্তের জন্য তৃণমূল এবং বিজেপি— দু’দলকেই দায়ী করেন অধীর। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপি দুটোই দানব। দুই দানবের মধ্যে প্রতিদিন সংঘর্ষ হচ্ছে। বাংলা রক্তাক্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে গোটা বাংলায় ১৪ জন খুন হয়ে গেল। তাই বাংলার মানুষ বলছে তৃণমূল এবং বিজেপি এ বার খরচের খাতায় চলে যাবে। ইতিহাসের পাতায় থাকবে সংযুক্ত মোর্চা।’
    শীতলখুচিতে যে কারণে গুলি চলেছে তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। তাঁর কথায়, ‘‘কেন বাংলার ৫ নাগরিকের অকারণে মৃত্যু হল? যারা দোষী তাদের শাস্তি দেওয়া হোক। সিবিআই তদন্ত হোক।’’

    মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে অধীর বলেন, ‘‘এই সুযোগে তিনি ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছেন। বাংলার মানুষ মারা যাচ্ছে। এই মৃত্যু আমাদের কাছে অনেক দুঃখের, যন্ত্রণার, বেদনার। তাঁদের জীবন হয়তো ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। কিন্তু যারা দোষী, তাদের শাস্তির দাবি করছি। তার পরেই বলেন আগামী দুদিনের মধ্যেই আপনারা জানতে পারবেন শীতলকুচি নিয়ে মামলা করছে অধীর রঞ্জন চৌধুরী! কারণ আমরা সত্য ঘটনা জানতে চাই মানুষকে জানাতে চাই। “