বিড়িপাতার তামাক ব্যবসায়ীকে অপহরণ মেমারিতে

নূর আহমেদ : ১৫ জানুয়ারি মেমারি,রবিবার বিকাল ৫-৩০ নাগাদ মেমারি তাতারপুর জিটি রোড থেকে বিড়ি তামাক পাতার ব্যবসায়ী বেনীমাধব চ্যাটার্জী ওরফে চনন্দন চ্যাটার্জীকে অপহরন করে নিয়ে যায় ঝাড়খন্ডের নাম্বার প্লেট যুক্ত একটা সাদা স্করপিও গাড়ী। জানা যায় মেমারী স্টেশনবাজারে দীর্ঘদিনের তামাক পাতার বড় ব্যবসা চন্দন চ্যাটার্জীর। প্রত্যক্ষদর্শী দের কাছ থেকে জানা যায় একটি সাদা স্করপিও গাড়ি হঠাৎ দাঁড়িয়ে একজন বাইক আরোহীকে দাঁড় করিয়ে বাইকটি রাস্তায় ফেলে দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে চম্পট দেয়। স্থানীয়রা অপহৃত ব্যবসায়ী চন্দন চ্যাটার্জীকে চিনতে পারলে তার বাড়িতে ও মেমারি থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন থানায় পৌঁছায়। মেমারি থানার ওসি দেবাশীষ নাগের তৎপড়তায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ইতিমধ্যে অপহরনকারীরা বাড়ির লোকজনকে ফোন করে ৬০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করে রাত ১০-৩০ নাগাদ এবং সোমাবাক সকাল ১০টা নাগাদ ঝাড়খন্ডের পাকুড়ে নিয়ে আসতে বলেন। পুলিশ ফোন নাম্বার ট্রাক করে সোমবার ভোরে ব্যবসায়ী চন্দন চ্যাটার্জীকে উদ্ধার করে ঝাড়খন্ডের বর্ডার এরিয়া থেকে। ঝাড়খন্ড পুলিশের সহয়াতায় মেমারি থানার পুলিশ সোমবার বিকালে ব্যবসায়ীকে মেমারি থানায় নিয়ে আসেন এবং ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং স্কোরপিও গাড়িটি আটক করে নিয়ে আসে। অন্যদিকে চন্দন চ্যটার্জীর ভাগ্না স্বরূপ চৌধুরী জানান অপহরনকারীরা দাবী করে তাদের কাছে ১২ লক্ষ টাকা ব্যবাসায়িক কারণে ধার করেছিলেন চন্দন চ্যাটার্জী। ভাগ্না বলেন, এ ব্যপারে তিনি কিছু জানেন না, পুরোটাই মামা জানেন। সমগ্র ঘটনায় মেমারি শহরে ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তার জনিত কারণে আতঙ্কে আছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মেমারি পুরাতন পোষ্ট অফিস পাড়ায় চন্দন চ্যাটার্জীর পরিবার গোটা ঘটনায় সারারাত আতঙ্কের মধ্যে কাটান ও মেমারি থানার পুলিশের এই উদ্ধারকার্যের জন্য ধন্যবাদ জানান।