|
---|
নতুন গতি ডেস্ক:প্রথম দফার ভোটের গতি প্রকৃতি দেখে বিজেপির সমীক্ষায় সারা দেশে ১৫০ টি আসন মেলার আভাস, চিন্তায় নরেন্দ্র মোদী। অধিকাংশ রাজ্যে গত লোকসভার থেকে কম ভোট পড়েছে। গত ভোটে মনমোহন সিংহ সরকারকে সরিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতায় আনার একটি তাগিদ ছিল জনতার মধ্যে। মোদী-ঝড় ছিল গোটা দেশে। কিন্তু এ বারে তেমন কোনও ঝড় কোথাও দেখা যাচ্ছে না। মোদীকে পরাস্ত করতে হবে, এমন ভাবনাও নেই। কিন্তু দেশ জুড়ে মোদীর পক্ষে জোরালো হাওয়া না থাকায় স্থানীয় বিষয়গুলি বড় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় জাত-পাতের অঙ্কও বড় ফ্যাক্টর।’’
বিজেপি ইনসাইডার’ বলে একটি টুইটার হ্যান্ডেল রয়েছে, যেটি সাধারণত বিজেপির অন্দরের খবর দেয় বলে দিল্লির অলিন্দে পরিচিত। তাঁদের অনুমান অনেক সময় মিলেও যায়। আজ সকালে এই টুইটার থেকেই একটি টুইট করা হয়। যেখানে বলা হয়, দলের সাম্প্রতিকতম অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা অনুযায়ী, গোটা দেশে বিজেপি ১৫০-১৬০টি আসনে নেমে আসবে। দলের সব থেকে বেশি লোকসান হবে উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মহারাষ্ট্রে।
কংগ্রেস ঠিক এই ভবিষ্যৎবাণীটিই অনেক দিন ধরে করে আসছে। তাদের মতে, গত লোকসভা ভোটে বিজেপির একার জোরে পাওয়া ২৮২টি আসন থেকে এক ধাক্কায় শ’খানেক কমে গেলে এনডিএর শরিকদের নিয়েও সরকার গড়তে পারবেন না নরেন্দ্র মোদী। কোনও মতে সরকার গড়ার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছতে পারলেও মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবে না এনডিএ শরিকরাই। তবে কংগ্রেস মনে করছে, বিজেপির সংখ্যা আরও কমবে। আর সরকার গড়বে বিরোধীরা মিলেই।
বিজেপি মানছে, বিশেষ করে গত কালের ভোটে মায়াবতী-অখিলেশদের জোট অনেকটাই বাজি মেরেছে। অতীতে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে মেরুকরণ কাজ করত, এ বারে সেটিও করছে না। ফলে বিজেপিকেও এখন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে, মেরুকরণের উগ্রতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি না। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আজই দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রামনবমীর যজ্ঞ করে শোভাযাত্রা বার করেছে।