জুননুন,মেদাদুল,তাহিরুল,ইমরান দের উদ্যোগে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের উদ্দেশ্যে রক্তদান শিবির

জুননুন,মেদাদুল,তাহিরুল,ইমরান দের উদ্যোগে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের উদ্দেশ্যে রক্তদান শিবির

     

     

     

     

     

    নতুন গতি প্রতিবেদক : জুননুন,মেদাদুল,তাহিরুল,ইমরান দের উদ্যোগে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের উদ্দেশ্যে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো আজ। পোলেরহাট, ভাঙ্গড় ব্লকের স্বস্ত্যায়নগাছী প্রাথমিক স্কুল মাঠে। সকলেই কলেজ পড়ুয়া ২০-২৫ বছরের যুবক। সকলে নিজেও জীবনে প্রথম বার রক্ত দিলো আজ নিজেদের শিবিরে। এই প্রথম তাঁদের রক্ত দান শিবির। বলা যায় হাতে খড়ি হলো এই শিবিরের মাধ্যমে। রক্ত দাতার সংখ্যাটা ছিলো অল্প তবে মহিলা ও পুরুষ উভয়েই রক্ত দান করেন উক্ত শিবিরে। বলাইবাহুল্য দক্ষতার সাথে আন্তরিকতা মিলে এই শিবির ছিলো পরিপাটি।

     

    তাঁদের কথা অনুযায়ী, রিয়াজ, সুদীপ্ত, জেসমিনরা থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। একজনের বাবার পাড়ার গলির মোড়ে তেলেভাজার দোকান৷ জেসমিনের বাবা একদম ভোরে উঠে ফুল তুলে শিয়ালদহে আসেন। হয়তো এরকমই করুন পরিস্থিতি বাংলার থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ঘরে ঘরে। তাঁদের পতি ত্রৈমাসিক, বা মাসিক রক্ত দেওয়ার পালা৷ মাসে মাসে কিভাবে সেটা জোগাড় করবে সেটা ভেবেই কুল কিনারা পায়না জেসমিনদের বাবা মা রা।

     

    যাদের অর্থ আছে তাদের কথা না হয় বাদই দিলাম। তাঁরা ঠিক প্রয়োজন মত অর্থ দিয়ে ক্রয় করে নেবেন। যাদের সামর্থ্য নেই তাদের কি হবে? কোথায় গিয়ে কড়া নাড়বে তাঁরা। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে তাঁদের আজকের এই মহতী উদ্যোগ। এই রক্তদানের মাধ্যেমে তাঁরা জেসমিন, সুদীপ্তদের বাবা মা দের মুখে হাসি ফোটাতে চায়।

     

    ভোর বেলা ফুল নিয়ে কোলকাতা গামী ট্রেনের জানালা দিয়ে বাইরে তাকানো চিন্তিত দুটো ভেজা চোখকে শান্তনা দিতে এলাকাবাসী দের কাছে স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য আহ্বান জানায় এই কলেজ পড়ুয়ারা।

     

    রক্ত দান মহৎ দান। সবাই জানেন কিন্তু খুব কম লোকই এগিয়ে আসেন। এদের এই উদ্যোগে আপ্লুত এলাকাবাসী। সবশেষে নিশ্চিন্ত হলেন রিয়াজ, সুদীপ্ত, জেসমিন দের পরিবার। ঠিক এইভাবেই যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান রইল।