শরীফ, ইন্দ্র, সোহেল, জাহিরদের উদ্যোগে রক্ত দান শিবির বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে

নতুন গতি প্রতিবেদক : করোনা আবহে খালি ব্লাডব্যাঙ্ক, সঙ্কট মেটাতে রক্তদান শিবির বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে চাম্পাহাটিতে। করোনা অতিমারির মধ্যে তাঁরা সর্বদা নিজেদের সাধ্য মত মানুষের পাশে থাকছেন। নিজেদের জীবন বাজি রেখে কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষকে পৌঁছে দিয়েছেন দরকারি ওষুধ থেকে খাবার। হাসপাতালেও রোগীর প্রয়োজনে পাঠাচ্ছেন রক্ত দাতা। করোনা নিয়ে করে যাচ্ছেন সতর্কতামূলক প্রচারও। এর মধ্যে হাসপাতালে রক্ত সংকটের মধ্যেও হাত বাড়িয়ে দিলেন তাঁরাই।

    একদিকে করোনা, অন্যদিকে ভোট। এই দুইয়ের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই রক্তদান কর্মসূচি প্রায় বন্ধ বল্লেই চলে। দু’একটি রক্তদান শিবির হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। আর যার ফলে ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের। হন্য হয়ে রোগীর আত্মীয়-পরিজনরা যোগাযোগ করছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের সাথে। কিন্তু রক্তদান শিবির না হওয়ায় রক্তের ক্রেডিট কার্ড মিললেও ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত মিলছে না। তাই রক্তসঙ্কট মেটাতে এগিয়ে এল জাহির, শরীফ, ইন্দ্র, সোহেল ও বন্ধুরা।

    সহযোগিতায় এস এস কে এম হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংক। এদিনের রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ডাক্তার রমেদ্র হোম চৌধুরী মহাশয়।

    সম্পূর্ণ করোনা বিধি মেনে এদিনের শিবির হয় মোবাইল ভ্যানে। মহিলা পুরুষ মিলিয়ে ৩০জন রক্ত দাতা রক্তদানে এগিয়ে আসেন বয়স ২০-২৬ এবং শারীরিক কারণে ৭জন রক্ত দাতা ফিরে যান। অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেখে রক্তদান শিবিরে এসে রক্তদান করেন।

    উদ্যোক্তাদের মধ্যে, জাহির হোসেন বলেন,” আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস,থ্যালাসেমিয়ার রোগীদের জন্য রক্তের অভাব তো রয়েছেই একই সঙ্গে করোনার কারণে ব্লাড ব্যাঙ্কে যেমন রক্তের অভাব ঠিক, একইভাবে অনেকেই ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে রক্ত দিতে চান না। তাই রক্তের অভাবে সমস্যা হচ্ছে রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের। এ জন্যই আমাদের এই বিশেষ উদ্যোগ”।