বর্ষার পরই নির্মাণ হবে বাহিরঘন্যার খড়ি নদীর সেতু জানালেন গলসি বিধায়ক

আজিজুর রহমান,গলসি : গলসি ২ নম্বর ব্লকের বাহিরঘন্যা কাছে অবস্থিত খড়ি নদীর উপরে অবস্থিত কাঠের সেতু পরিদর্শন করলেন এলাকার বিধায়ক নেপাল ঘরুই। এদিন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ এর ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিক দের নিয়ে তিনি এলাকা পরিদর্শন করেন। জানা গেছে, খড়ি নদীর উপরে ওই সেতুটি বর্তমানে কাঠের তৈরী আছে। যেটি পার হয়ে আউসগ্রাম বিল্লগ্রাম তকীপুর গুসকরা সহ বোলপুর যাতায়াত করেন এলাকার মানুষরা। যেখানে একটি স্থায়ী সেতু জন্য এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দাবী জানিয়েছিলেন। সেই নিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। তবে তা নির্মাণ না হওয়ায় হাল ছেড়ে দেন এলাকার সাধারণ মানুষ। তবে গলসি বিধায়কের উদ্দ্যোগে তাদের  দীর্ঘদিনের আশা পুরন হতে চলেছে বলে জানতে পারা গেছে। বিধায়ক নেপাল ঘরুই জানান, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল ওই সেতুটি নিয়ে। তিনি সপ্তাহ খানেক আগে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদে সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব পাঠান। তারপরই এদিন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের দুর্গাপুর শাখার অ্যাসিস্টেন ইঞ্জিনিয়ার সৌমেন গায়েন ও সরকারি কয়েকজন আধিকারিক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। তিনি জানিয়েছেন, আজকে সেতুর মাপযোগ করা হয়েছে। খুব শিঘ্রই সেতু সংলগ্ন এলাকার মাটি পরীক্ষা করা হবে। তাছাড়া বর্ষার পরই সেতু নির্মানের কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান। এলাকার বাসিন্দা সেখ নাসির বলেন, আগে কাঠের সেতু ছিলনা। তখন আমরা ডুঙি দিয়ে পারাপার হতাম। পরে কাঠের সেতু তৈরী হয়। তবে কাঠের সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল সেইভাবে হয়না। যারজন্য আমাদের এলাকার বেশকিছু চাষিদের ঘুরপথে চাষের ধান তুলতে হয়। তাছাড়া বর্ষার সময় এপার ওপার করতে খুবই কষ্ট হয়। আমরা বহুবার এটি নিয়ে গলসি বিডিও ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে  জানিয়েছিলাম। তবে বর্তমানে এটি নির্মাণ হবার খবর পেয়ে খুব খুশি হলাম। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন যাক আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী পুরন হচ্ছে।তবে বাহিরঘন্যা থেকে সেতুর কাছ প্রযন্ত কিছুটা কাঁচা রাস্তা আছে। সেটি পঞ্চায়েত নির্মাণ করে দিলেই আমাদের সব আশা পুরন হবে। এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, সফর মল্লিক বলেন, তিনি ও তাদের এলাকার মানুষের সাথে সাথে তকীপুর বিল্লগ্রামের মানুষ সেতুটি নির্মাণের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন কয়েক বছর ধরে। বর্তমানে বিধায়ক নেপাল ঘরুই সাহেব নির্মাণের উদ্দ্যোগ নিয়েছেন। তার দাবী বিধায়কের এমন উদ্দ্যোগে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, এটি নির্মান হলে জাতীয় সড়ক থেকে বাহিরঘন্যা ও বিল্লগ্রাম হয়ে বোলপুর যাবার পথ সুগম হবে। তাছাড়া বহু কৃষিজীবি মানুষ উপকৃত হবেন।