Breaking news: মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: মন্ত্রিত্ব ছাড়ার ঘোষণা করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। দল বদলানোর শুরুর ছবিটা একই ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। এভাবেই রাজ্যের মন্ত্রিপদ ছেড়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু। বাকিটা তো এখন সবারই জানা। শুভেন্দুর পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও ছিল একই জল্পনা। বারবার সুর কেটেছে রাজ্যের এই মন্ত্রীর। শুক্রবার সেসব জল্পনায় আরও খানিকটা উস্কানি। ফেসবুকে পোস্ট করলেন পদত্যাগের চিঠি। রাজ্যের বনমন্ত্রী ছিলেন রাজীব। এদিন রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, রাজ্যের মানুষকে সেবা করার জন্য আমি গর্বিত। এরকম একটা সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। পদত্যাগ গ্রহণ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। যদিও রাজীবের পদত্যাগ কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা নয়।ঠিক দু’দিন আগেই নাম না করে রাজীবকে আহ্বান জানিয়েছিএলন শুভেন্দু। বলেছিলেন, সবার জন্যে বিজেপির দরজা খোলা রয়েছে।

    সভা থেকে সমস্ত বেসুরো তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল পাইভেট কোম্পানিতে থাকতে হলে কর্মচারী হয়েই থেকে যেতে হবে। তবে সহযোদ্ধা কিংবা সহকর্মী হিসাবে যদি থাকতে চান তাহলে অবশ্যই বিজেপিতে আসুন। তবে রাজীব কিংবা প্রবীর ঘোষালরা বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা সেই বিষয়ে কিছু স্পষ্ট ভাবে জানাননি নন্দীগ্রামের প্রাক্তন এই বিধায়ক। এর আগেও সহকর্মী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপিতে যোগদানের আহ্বান জানান শুভেন্দু অধিকারী। পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার খেজুরডাঙার সভায় শুভেন্দু বলেন, আমি বাধাপ্রাপ্ত হয়েও বেরিয়ে এসেছি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়েরও বেরিয়ে আসা উচিত। যাঁরা কর্মচারী হয়ে থাকতে চান না, তাঁরা সবাই বেরিয়ে আসুন। গত শনিবার ফেসবুকে লাইভ বার্তায় ঠারেঠোরে নিজের অসন্তোষের কথা ব্যক্ত করেন ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। খানিকটা হলেও সাধারণ মানুষের পাশ থেকে সরে গিয়েছে দল। ভুল স্বীকার না করলে মানুষের পাশে থাকা যায় না। অভিমানের সুরে রাজীব বলেন, অনেক সময়েই ভালো কাজ করতে চেয়ে করতে পারিনি যখন, তখন আহত হয়েছি। ক্ষোভও জমেছে। সেই ক্ষোভ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছি। তাঁর কথায়, দলের কর্মীরা শুধু সম্মান চায়। কেউ বলতে পারবেন না দলের কর্মীরা আমার থেকে অসম্মান পেয়েছে। আমার দলনেত্রীও এই একই কথা বলেন। কিন্তু কখনও দেখা যায় সেই কথা রাখা হয় না। কাজ করতে গিয়ে বাধা পেয়ে মুখ খুলেছি, সেটাকে অন্যায় মনে করি না।