|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: কে হবে প্রার্থী ? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে মালদহের প্রত্যেকটি বিধানসভার শাসকদলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। প্রত্যেকেরই দাবি তাদের যোগ্যতম নেতা লড়ুক বিধানসভায় প্রার্থী হিসাবে। নন্দী গ্রামে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্ধোপাধ্যায় নিজের আসনের রফা করতেই রাজ্য শাসকদলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে খুশি হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ঠিক সেই মুহুর্তে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ৪৬ নম্বর বিধানসভা কেন্দ্রে রাস্তায় রাস্তায় পছন্দের তৃণমূল নেতার পোষ্টার ঝুলালো অনুগামীরা। পোষ্টারে লেখা বাংলার গর্ব মমতা আর একদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো ও রাজ্য তৃণমূল যুব সভাপতির পাশে মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খানের ছবি। আর এই পোষ্টার দেখেই চোখে ঝালাপালা পড়েছে ওই নেতার বিপক্ষ গোষ্ঠীর। এলাকা সূত্রের খবর, বুলবুল খান বিরোধী দলের বিপক্ষে হরিশ্চন্দ্রপুরে লড়ুক। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে নানান কর্মসূচিতে এমনটাই দাবি উঠে আসছে। এমকি কৃষক সংগঠন তৃণমূলের অন্যান্য শাখা সংগঠন একই দাবি জানাচ্ছে। যদিও কে প্রার্থী হবে এই বিষয়ে মাননীয়ার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। প্রার্থী ঘোষনার আগে পোষ্টার বিতর্কে ফের জড়ালো শাসক দল। রীতিমতো এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ঘাসফুল শিবিরে।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে আরো তিনজন প্রার্থী পদের জন্য দাবিদার হিসেবে রয়েছে তৃণমূল নেতা তথা গায়ক সৌমিত্র রায়, জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুন, প্রাক্তন বিধায়ক তাজমুল হোসেন। তবে বুলবুল খানকে নিয়ে মাতামাতি কেন? তিনি কি সর্বসেরা হরিশ্চন্দ্রপুরের মাটিতে, এই নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের টিমও তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিমান ঝাঁ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার বক্তব্যে জানান, আমি রাস্তায় আসার সময় বাংলার গর্ব মমতা ব্যানার্জি এবং যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার। এবং পাশাপাশি বুলবুলদার নাম উঠছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের গর্ব তিনি। নেতা হচ্ছে এমন একজন ব্যক্তি যিনি বিপদের সময় মানুষের কাঁধে হাত রেখে বলবেন যে বন্ধু আমি তোমাদের পাশে আছি। হরিশচন্দ্রপুরে দুটো বিপর্যয় এসেছিল, করোনা মহামারী ও বন্যা। বন্যা ও করোনার সময় সমস্ত জনপ্রতিনিধি বাড়িতে বসে ছিলেন। সেই সময় বন্যার জল পেরিয়ে মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতেন। এই করোনা পরিস্থিতিতে লঙ্গরখানা খুলে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে খাইয়েছেন। তিনি মানুষের ভালোবাসার পাত্র। মনে প্রাণে চাই এরকম একটা মানুষ প্রার্থী হোক। তবে সর্বোপরি যেই প্রার্থী হোক,আমরা মেনে নেব।
তৃণমূল কংগ্রেস যুব-সভাপতি জিয়াউর রহমান এই প্রসঙ্গে নিজস্ব মতামত রেখেছেন, তিনি জানিয়েছেন, পার্টি করলে সবারই ভালো পদ নিয়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছে থাকে। সেরকমই বুলবুলেরও হয়তো ইচ্ছে হয়েছে। তবে আমাদের পার্টি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উনি যাকে এখানে প্রার্থী হয়ে দেবেন আমরা তার হয়ে ভোট করব। আমরা প্রতিককে চিনি। বুলবুল খানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার মন্তব্যে জানান যে, প্রার্থী আমি আপনি যে কেউ হতে পারেন। বুলবুল মানুষের জন্য যথেষ্ট ভালো খাটে। লক ডাউন এবং বন্যাতে সত্যি যদি কারো নাম করতে হয় তো বুলবুলের নাম করতেই হয়। আরো অনেকেই ছিল কিন্তু সেই সময় সে ব্লক ১,২ এর সমস্ত জায়গায় মানুষকে পরিষেবা দিয়েছে। হরিশচন্দ্রপুরের রাজনৈতিক মহলে এই বিষয়ে শোরগোল পড়লেও হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাস এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।