|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের থেকে হিসাব বহির্ভূত টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কলকাতার ব্যবসায়ী মহেন্দ্র অগ্রবালকে আটক করল সিআইডি। বিকানের হাউসের মালিক মহেন্দ্রকে বুধবার সকালে তাঁর সল্টলেকের ইএম বাইপাসের বাড়ির সামনে থেকে আটক করে জেরা শুরু করে সিআইডি। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সেখানে তাঁর ইসিজি করানো হয়। চিকিৎসকেরা সিটি স্ক্যান করানোরও পরমর্শ দিয়েছেন।লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের উল্টো দিকে ‘বিকানের’ নামে ওই বহুতলের চারতলায় একটি শেয়ার ট্রেডিং সংস্থার দফতর থেকেই ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের কাছে বড় অঙ্কের টাকা গিয়েছিল বলে সিআইডির তদন্তকারী দলের সন্দেহ। সেই টাকা উদ্ধারের মামলাতেই ধৃত বিধায়কদের জেরার সূত্র ধরে মঙ্গলবার দুপুরে লালবাজারের উল্টো দিকের ওই বহুতল থেকে আরও ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৭০০ টাকা এবং ২২৫টি রুপোর মুদ্রা উদ্ধার করে সিআইডি। কিন্তু মঙ্গলবার বিকানেরের মালিক মহেন্দ্রর খোঁজ মেলেনি।প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে হাওড়ার পাঁচলা-রানিহাটি মোড়ে কংগ্রেস থেকে গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক-সহ পাঁচ জনকে। একটি গাড়িতে তাঁদের সঙ্গে ছিল ৪৯ লক্ষ টাকা। সিআইডি সূত্রে খবর, এই টাকা কংগ্রেসের বিধায়কদের হাতবদল হওয়ার আগে রাখা ছিল এই বিকানের ভবনেই। এমনকি, ওই টাকা এই লালবাজারের বাড়িটিতেই হাতবদল হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।সেই খবর পেয়েই মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ বিকানের ভবনের তিনতলার একটি অফিসে তল্লাশি শুরু করে সিআইডির অফিসারেরা। তবে অফিসটির তালা বন্ধ থাকায় প্রথমে ভিতরে ঢুকতে পারেননি সিআইডির গোয়েন্দারা। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর চাবিওয়ালা ডেকে দরজার লক ভেঙে তল্লাশি চালানো হয়। আটক মহেন্দ্রকে জেরার পর গ্রেফতার করা হতে পারে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস বিধায়কদের কিনে সরকার বদলানোর পরিকল্পনায় মহেন্দ্রর পাশাপাশি নাম এসেছে দিল্লির ব্যবসায়ী সিদ্ধার্থ মজুমদারের। তাঁদের দু’জনের ‘যোগেযোগের’ খবরর প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। দিল্লিতে সিদ্ধার্থের ঠিকানায় তদন্তে গিয়ে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত দিল্লি পুলিশের বাধায় মুখে পড়তে হয় সিআইডিকে।