|
---|
শরীফুল ইসলাম, নতুন গতি,
তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে রোববার, চল্লিশ সদস্যের একটি দল নিয়ে সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর নেতৃত্বে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে আসার ঘটনায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী -রাজ্য পুলিশের মধ্যে সরাসরি সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। দেশের ফেডারেল স্ট্রাকচার এক বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ে।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের কয়েকটি কার্য্য কলাপে বীতশ্রদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের ঘটনাটিকে কেন্দ্র সরকারের রাজ্য বিরোধী ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন।
নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ইন্ধনে সিবিআই এর এহেন কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর কার্যত আঘাত দাবি করে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই আচরণের বিরুদ্ধে তোপ দেগে কলকাতা মেট্রো চ্যানেলে ধরণায় বসেন। এবং দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রের রাজ্য বিরোধী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সোচ্চার হতে।
সোমবার, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গোটা রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ফেডারেল স্ট্রাকচার ও গণতন্ত্র বাঁচাও স্লোগান কে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা জেলা, শহর ও ব্লক স্তরে মিটিং মিছিল ও পথ সভা সংগঠিত করেন।
এদিকে, সিবিআই এর পক্ষ থেকেও মুখ বাঁচানোর লড়াই শুরু হয়ে যায়। নিয়ম মাফিক কাজের দাবির যৌক্তিকতা প্রমানে সিবিআই কর্তারাও ছোটেন সুপ্রিম কোর্টে। শুরু হয়ে যায় কেন্দ্র-রাজ্য সাংবিধানিক ক্ষমতার ব্যবহার- অপব্যবহার কাজিয়া।
এরই মধ্যে , আজ , সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচার পতি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সিবিআই মামলার রায় ঘোষণা করে বলেন, রাজীব কুমার কে গ্রেফতার করা যাবে না। তাঁকে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে।ওই রায়ে, সুপ্রিম কোর্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিরপেক্ষ স্থান হিসেবে শিলং এর কোনো একটি জায়গা বেছে নিতে পারেন বলেও উল্লেখ করেন।
সিপি সূত্র, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রাপ্তির অব্যবহিত পরই সিপি রাজীব কুমার আগামী ৮-ই ফেব্রুয়ারি সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দেন বলে জানা গেছে।