১০ মিটার পর্যন্ত ভেসে বেড়াতে পারে করোনার সংক্রামক কণা, সতর্ক করল কেন্দ্র

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্ক (Mask) পরার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব (Social distance) মেনে চলাও অত্যন্ত জরুরি। ড্রপলেট যেখানে ২ মিটারের বেশি যায় না, তাই ওই দূরত্বটুকু বজায় রাখা দরকার সকলের। কিন্তু ছোট ছোট এরোসল বা জলকণা (Aerosol) কিন্তু ১০ মিটার পর্যন্ত যায়। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা কে বিজয় রাঘবনের তরফে পেশ করা একা নয়া গাইডলাইনে এমনটাই জানানো হয়েছে।ওই গাইডলাইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি হাঁচলে কিংবা কাশলে তাঁর মুখ থেকে নির্গত ছোট জলকণা সর্বোচ্চ ১০ মিটার পর্যন্ত দূরে গিয়ে পড়তে পারে। করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করে। তাই এই বিষয়টিতেও এবার থেকে সাবধানে থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছে গাইডলাইন। গাইডলাইনে আরও জানানো হয়েছে, যাঁরা অ্যাসিম্পটম্যাটিক অর্থাৎ সংক্রমণের কোনও লক্ষণ নেই এমন করোনা রোগীরাও সংক্রমিত করতে পারেন অন্যদের। পাশাপাশি খোলামেলা জায়গায় যে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকে তাও জানানো হয়েছে। সেই কারণে ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র চালালে বিপদ বাড়বে বলেই আশঙ্কা। কেননা যদি কোনও সংক্রমিত কণা ঘরে প্রবেশ করে থাকে তবে তা ঘরেই আটকে পড়বে ও সেখান থেকে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সেই সঙ্গে অফিস বা বাড়িতে দরজা-জানলা খোলা রাখার প্রয়োজনীয়তার কথাও সেখানে বলা হয়েছে।

    পাশাপাশি যে সব স্থানে ড্রপলেট পড়লে দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারে, সেই সব স্থান বারবার পরিষ্কার করা উচিত বলেও জানানো হয়েছে গাইডলাইনে। যেমন, দরজার হাতল, আলোর সুইচ, চেয়ার, টেবিল ও মেঝে।এদিকে সাময়িক স্বস্তি মুছে ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের কোভিড (COVID-19) গ্রাফ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭০ জন। একদিনে করোনার বলি ৩৮৭৪।