|
---|
৬৩ কিমি দুর থেকেই একজোড়া প্রসূতিকে বিরল রক্তের জোগান চাঁচলের ওই স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপের
উজির আলী, নতুনগতি, চাঁচল:১৬ ই মে
আবারও লকডাউন আবহে বিরল রক্তের জোগান দিল মালদহের চাঁচলের একটি স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ পাওয়ার অফ্ হিউম্যানিটি। তবে এবার স্থানীয় হাসপাতাল চাঁচল নয়! ৬৩ কিমি দুরত্ব মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীকে রক্ত জোগান দিয়েছেন ওই স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপটি।
দুজন প্রসূতিকে বিরল রক্তের জোগান দিয়ে আবারও মানবিক দেখিয়ে দিল ওই পাওয়ার অফ্ হিউম্যানিটি।
স্বেচ্ছাসেবীর কর্নধার মিজানুর ইসলাম জানিয়েছেন, বন্ধু মারফত খবর পেয়ে আমরা রক্তের জোগান দিই। যদিও ওই বিরল রক্তের সন্ধ্যান করতে চরম হিমশিম খেতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, মালদহের চাঁচল ২ নং ব্লকের নাগিনা বানু(৩০)
চন্দ্রপার গ্রামের ফিরোজা খাতুন (২০) এই দুই প্রসূতির রক্ত সঙ্কটে দেখা দেয়।
মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসকরা রক্তের জোগান করে বলে পরিবার জানায়।
তবে নাগিনার বানুর অ্ নেগেটিভ এবং ফিরোজা খাতুনের বি- নেগেটিভ।
তবে এই গ্রুপের রক্ত পাওয়া একটা সঙ্কটজনক ব্যাপার বলাবাহুল্য।
ওই দুই প্রসূতির পরিবার বিপাকে পড়ে রক্তের সন্ধ্যানে।
অবশেষে বন্ধু মারফত খবর পেয়ে চাঁচলের ওই পাওয়ার অফ্ হিউমন্যানিটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সন্ধ্যান পায়। পরে সংস্থার তরফে এক দুই প্রসূতিকে রক্ত দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ফিরোজা খাতুনকে বি-নেগেটিভ রক্ত দেন চাঁচল এলাকার আমলাপাড়ার সুরজিৎ লাহিড়ী (২৫) তিনি পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পাওয়ার অফ্ হিউম্যানিটির সদস্য।
এবং নাগিনা বানুকে রক্ত দিয়েছেন অ্-নেগেটিভ (O-) রক্ত দিয়েছেন চাঁচলের ইকবাল হোসেন বলে ওই স্বেচ্ছা সেবী গ্রুপটি জানিয়েছে।
তবে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুই প্রসূতি শয্যাসায়ী থাকলেও
চাঁচল হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে ডোনেট করে তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপের রাইহান হোসেন।
লকডাউন আবহে আমরা জটিল থেকে শুরু করে সমস্ত রকম গ্রুপের রক্ত মুমুর্ষ রোগীদের জোগান দিয়ে যাচ্ছি বলে জানান সদস্য সৌম্যশ্রী সাহা।
এমন মানবিক রুপ মালদহের চাঁচলে প্রাইশই দেখা চাঁচলে বলে দাবী এলাকাবাসীর একাংশের।