ছাগল চড়িয়ে অর্থ সঞ্চয় করে ওমরা ও হজ।

এম এস ইসলাম : পাকিস্থানের অধিবাসী আব্দুল কাদের।অন্যের ছাগল চড়িয়ে হত গুজরান।হতদরিদ্র হলেও ইসলামিক নিয়ম নীতি থেকে এক পাও টলেনি তিনি।মনের অদম্য জেদ ছিল পবিত্র মক্কা ভূমি দর্শন করার।তবে তা যে ব্যায়বহুল ও খরচ সাপেক্ষ তাও তিনি জানতেন।রাখালের কাজ করে এত টাকা সঞ্চয় করা সাধারণ ভাবনার বাইরে বললেই চলে।তবে কাদের সাহেবের গভীর আত্মবিশ্বাস ছিল হজে যাওয়ার অর্থ সে সঞ্চয় করবেই।মনের ইচ্ছা পূরণে সে ধনুক ভাঙা পন করে বসে।জানা গেছে ছাগলের মালিক তাকে পারিশ্রমিক বাবদ বাৎসরিক একটি করে ছাগল দিতেন।সেই ছাগল বড় করে বিক্রি করে জমাতেন টাকা।এইভাবে দীর্ঘ 15 বছরের জমানো অর্থ অবশেষে পাসপোর্ট এবং যাতায়াতের খরচ জোগাড় করে উমরা হজ করতে সক্ষম হন।তবে সেখানেও তাকে নানান প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হয়।থাকার কোনো হোটেল না পেয়ে কাবা চত্তরে খোলা আকাশের নিচেই তিনি রাত কাটান।মাতৃভাষা ছাড়া কোনো ভাষায় তার জানা নেই।ফলে নিজের চাহিদার কথাও কাউকে বলতে পারছিলেন না।পবিত্র ভূমিতে যেখানে পা রাখেন কত ধনী, অভিজাত মানুষ সেখানে এমন দরিদ্র মানুষ বড্ড বেমানান।তাই সকলের নজরে পড়তে থাকেন কাদের সাহেব।সামাজিক মাধ্যমে তার ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে ঝড়ের গতিতে।অবশেষে আরবের রাজপরিবারেরর সুনজরে পড়লে শুরু হয় কাদের সাহেবের তথ্য তল্লাস।ততক্ষনে তিনি হজ পালন করে পৌঁছে গিয়েছেন নিজ বাসভুমিতে।তবে রাজ পরিবারও ছাড়ার বান্দা নয়।লোক মারফত তাকে খুঁজে মেহমানদাড়ির আমন্ত্রণ পাঠান রাজপরিবারের লোকজন।পরের বছরে আব্দুল কাদেরের রাজকীয় সম্মনানা পাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।