|
---|
উজির আলী,চাঁচলঃ০৭ ই আগষ্ট
চাঁচল-আশাপুর রাজ্য সড়কের ধারে আমবাগানের ভিতরে বরতর গ্রাম। ৩৫ টি মুসহর পরিবার নিয়ে আমবাগানের ভিতর গড়ে উঠেছে গ্রাম।
মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বরতর গ্রামটি একদম শেষ সীমান্তে। তাই পঞ্চায়েত প্রশাসন গ্রামে পা রাখেন না এবং নজর দেয়না বলে ক্ষোভ বাসিন্দাদের।
গ্রামে রয়েছে চাপাকল, তবে তা মাঝে মাঝেই বিকল হয়ে পড়ে। তখন ৭০০ মিটার পায়ে হেটে পৌড়িয়া প্রাইমারী স্কুলের কাছে জল আনতে যেতে হয়।
রাতের অন্ধকারে বাগান পার হয়ে জল আনতে গিয়ে ছিনতাইয়ের আতঙ্কে থাকতে হয় বলে জানান গ্রামের মুসহর সম্প্রদায়ের গৃহবধূরা।
গ্রামের দুটি চাপাকল বর্তমান, তবে এই গ্রামের মহিলা সহ সবাই শ্রমিকের কাজে লিপ্ত।সকালে চাপাকলে জল সংগ্রহ করতে ৩০ থেকে ৪০ জন বধূকে লাইনে দাড়াতে হয়।
সমস্যা এখানেই শেষ নয়, জলের অন্যান্য ব্যবহারে পুকুরের জলই একমাত্র ভরসা। কাপড় কাচা,স্নান করা ও থালা মাজতে পুকুরের জলই ব্যবহার করতে হয় বলে জানান মনিষা মুসহর। এতে রোগব্যাধীর আশঙ্কা থাকছেই।
এছাড়াও কলের জল দুষনমুক্ত রয়েছি কিনা তাদের জানা নেই। করোনা আবহে পরিস্রুত জল পান না করলে রোগব্যাধীতে ভুগতে হবে বিশেজ্ঞরা জানিয়েছেন। তবে কি পরিস্রুত পানীয় জল ব্যবহার হচ্ছে কি? উত্তর জানা নেই গ্রামবাসীর।
স্বাস্থ্য বিধিকে মান্যতা দিয়ে সামাজিক দুরত্ব মেনে গ্রামের বধুদের লাইন দিয়ে জল সংগ্রহ করতে দেখা গেছে বুধবার।
বালতি- কলসী লাইনে দাড়িয়ে নিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর মিলেছে পানীয় জল।
আক্ষেপের সূরে এক প্রতিবন্ধী বধূ লতিকা মুসহর বলেন, ডান পা অক্ষম লাঠি নিয়ে হাটতে হাটতে জল সংগ্রহ করতে এসেছি।
সমস্যা চাপাকল নিয়ে সমস্যার কথা তিনও জানিয়েছেন।
গোটা মুসহর গ্রামবাসীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রশাসন গ্রামে নজর দেয়না।
সব এলাকায় সাব মার্শাল বসেছে শূধু বরতর গ্রাম বাদ পরে রয়েছে।
পঞ্চায়েত কে সমস্যার কথা জানালেও কোনো হেলদোল নেয় বলে অভিযোগ।
অবিলম্বে পরিস্রূত পানীয় জলের জন্য সাব মার্শালের দাবী জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
সমস্যার কথা শিকার করেছেন মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পপি দাস। তিনি জানান ২০২০-২১ অর্থ বর্ষে অনেক স্কীম ধরেছেন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যরা। ওই এলাকার সদস্য সেই প্রকল্পটি ধরেছেন কিনা তা খোঁজ নিচ্ছি।
দ্রূত সাব মার্শাল বসানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এবিষয়ে চাঁচল ১ নং ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য জানান, আমি গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দেশ দিব শীঘ্রই যেন সাব মার্শাল বসাই বরতর গ্রামে। এবং বাসিন্দাদের লিখিত আবেদন করতে বলা হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতে।