মনের মধ্যে জেদ ও সততা : প্রকৃষ্ট উদাহরন হল ছন্দা

    রাহুল রায়, পূর্ব বর্ধমানঃ কথায় বলে যদি মনের মধ্যে জেদ ও সততা থাকে তা হলে যে কোন অসাধ্যই সাধন করা যায়, সেখানে কোন বাধায় হার মানাতে পারে না। তেমনী এক প্রকৃষ্ট উদাহরন হল ছন্দা। ছন্দা ঘোষ। গতকাল মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে, আর তাতে সফল ভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ছন্দা। পারিবারিক কঠিন দারিদ্রতা তার অদম্য ইচ্ছা শক্তির কাছে হার মানতে, বলা ভালো পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে।

    পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ২নং ব্লকের করুইগ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মেঝিয়ারী চঞ্চলা বালিকা বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল ছন্দা। বাড়ি রোণ্ডা গ্ৰামে। বাবা উজ্জ্বল ঘোষ দিনমজুরের কাজ করে। মা অর্চনা ঘোষ গৃহবধূ। ছন্দা সারাদিন ৪ঘন্টা পড়াশোনা করতো, কারন এর বেশী সময় পড়াশোনাতে ব্যায় করা তার কাছে অনেকটা বিলাসিতার মতন! দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে ছন্দা ছিলো বাড়ির বড় মেয়ে এবং পড়া ছাড়াও বাড়িতে সব কাজ করতে হতো তাকে। সব কিছু সামলে পড়া শোনার প্রতি দৈনিক চার ঘন্টার বেশী সে দিতে পারতনা সময়। কিন্তু যতটুকু সময় পেতো ততটুকুই সে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সহিত করত।

    ছন্দার, পাড়া-পতিবেশীরা বলেন, ছন্দার পরিবার খুবই দুঃস্থ। কিন্তু ও খুব ভালো মেয়ে। পড়াশোনাতেও। সরকার যদি ছন্দার পড়ার ব্যাপারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে খুব ভালো হয়। ছন্দার প্রাপ্ত নম্বর ৫৫৬। বিভিন্ন বিষয়ে ছন্দার নম্বর হলো বাংলায় ৭৭, ইংরেজিতে ৮৬, অঙ্কে ৯০, ভৌত বিজ্ঞান ৬২, জীবন বিজ্ঞান ৮০, ইতিহাস ৮০, ভূগোল ৮১। বাবা উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, দারিদ্রতা আমাদের নিত্যসঙ্গী। ছন্দা বিজ্ঞান বিভাগ পড়তে চায়। কিন্তু আমার আর্থিক অবস্থা ঙালো না, তাই মেয়ের ইচ্ছেকে সফল করা আমার পক্ষে খুব কঠিন। বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়লে অনেক খরচ, কিভাবে সামলাব? দুঃশ্চিন্তা ছন্দা ও ছন্দার পরিবার। ছন্দার পরিবারের তাই আবেদন, যদি সরকারি ভাবে কোন সাহায্য মেলে তাহালে তার মেয়ের স্বপ্ন পূরন হয়। পাশাপাশি কোন সুহৃদয় ব্যাক্তি যদি ছন্দার পড়াশোনার জন্য বিশেষ ভাবে কোনো উপকার করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে খুবই উপকৃত ও কৃতজ্ঞ হই, এই আবেদন ছন্দার পরিবার ও তার প্রতিবেশী দের।

    নীচে ছন্দার পরিবারের কন্টাক্ট নাম্বার দেওয়া রইল।
    ফোন নঃ- 8327470498