চাঁদের পথে পাড়ি দিল চন্দ্রযান ২। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান।

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। যদিও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল চন্দ্রযান-২-এর উত্‍‌ক্ষেপণ। বাধা-বিঘ্ন কাটিয়ে সফলভাবে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-২। পৃথিবীর মহাকাশ গবেষণায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ করল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

    সোমবার দুপুর ২টো ৪৩ মিনিটে চন্দ্রযান-২-কে নিয়ে উড়ে গেল জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভিহেকল। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে চাঁদের পথে পাড়ি জমাল ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযান। ১৬ মিনিটের উড়ানের শেষে মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে চন্দ্রযানকে পৌঁছে দেবে রকেট বাহুবলী।

    ভারতের সব থেকে শক্তিশালী রকেটে করে চাঁদে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-২ স্যাটেলাইট। জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভিহেকেল(GSLV) মার্ক থ্রি-এর মাধ্যমে চাঁদে পাঠানো হচ্ছে চন্দ্রযান-২। লঞ্চ ভিয়েকেল-এ থাকছে একটি অর্বিটার, বিক্রম নামের একটি ল্যান্ডার এবং রোভার প্রজ্ঞান। সেপ্টেম্বরে পৌঁছনো যাবে চাঁদের বুকে। চন্দ্রযান-২-এর অভিযানে খরচ প্রায় ১,০০০ কোটি টাকা।

    সম্পূ্র্ণ ভারতে বানানো চন্দ্রযান-২-এর ওজন ৩.৮ টন। অর্বিটারটি চন্দ্রপৃষ্ঠের ও চাঁদের খনিজের ছবি তুলবে ও ম্যাপিং করবে। ল্যান্ডার অংশের ওজন  ১,৪৭১ কিলোগ্রাম। চাঁদের ভূমিকম্প ও চাঁদের তাপমাত্রা সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ করবে এটি। পাশাপাশি প্রজ্ঞান নামের ২৭ কিলোগ্রামের ছয় চাকার চলমান যানের মাধ্যমে চাঁদের মাটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। মূলত, চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে পর্যবেক্ষণ চালাবে প্রজ্ঞান। ১৪ দিন ধরে চাঁদের আধ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সফর করবে এই রোভার।

    এই অভিযানে সফল হলে চাঁদের মাটিতে যান পাঠানো দেশগুলির তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে আসবে ভারতের নাম। ইসরোর কর্তা ড: শিভান বললেন, “চাঁদের যে অংশে এই যান যাবে, সেখানে এর আগে কোনও দেশের যান পৌঁছতে পারেনি। মহাকাশবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারতের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করবে এই অভিযান।”